সারাদেশ

শিবালয়ে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ প্রতিপক্ষের আঘাতে একই পরিবারের সবাই আহত

  প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২৩ , ৮:৪৮:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ রাজিব হোসেন, জেলা প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ উপজেলা শিমুলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঢাকাইজোড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফজর আলী সহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের উপর প্রতিপক্ষ আব্দুল মজিদের পরিবারের সদস্য দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মার ধরের ঘটনায় ফজর আলী গুরুতর আহত হয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে ফজর আলীর স্ত্রী লিপি আক্তার জানান, আমাদের সাথে প্রতিবেশী আব্দুল মজিদের জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ ছাড়া মজিদের বড় ছেলে মোঃ সোহেল রানা আমরা বড় বোন সাহেরা আক্তারের নিকটে জমি বন্ধক রেখে টাকা নেয়। সেই টাকা ও জমির সীমানা নিয়ে মজিদ, মজিদের স্ত্রী, ২ ছেলে এবং ছেলের বউ আমাদের সাথে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ করত।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে তারা হুমকি ধামকি দিয়ে বলত এ বাড়ি থেকে আমাদের কে উচ্ছেদ করে তাড়িয়ে দিবে। সেই ঘটনার সুত্র ধরে তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুসারে ২২ই অক্টোবর রবিবার দুপুর দিকে প্রতিবেশী মোঃ আব্দুল মজিদ ( ৫২) স্ত্রী :মোসা মমতাজ বেগম (৪২), বড় ছেলে মোঃ সোহেল রানা (২৮), ছোট ছেলে মোঃ মুন্না মিয়া (২৫) ২ ছেলের বউ মোসা: সুমা বেগম (২০) ও মুক্তা আক্তার (১৯) মিলে আমাদের সিমানায় জোর করে আম গাছ রোপণ করলে প্রতিপক্ষ ফজের আলী বাধা দেই এবং তাকে তারা সকলেই মিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারতে আসে। আমার ভাগিনা আবদুল্লা আসসাদিক (১৭) আমার স্বামী মোঃ ফজর আলী(৩৬) ভাশুর মোঃ আকমল হোসেন (৪২), ছেলে শেখ মিলন (১৭) ও বড় বোন সাহেরা আক্তার(৩৪) এর প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসলে মজিদের বড় ছেলে মোঃ সোহেল রানা তার হাতে থাকা রড ও বাশ দিয়ে আমার স্বামী ফজর আলী মাথায় ও ভাগিনা সাদিকের ডান হাতে আঘাত করে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে।

সঙ্গে সঙ্গেই আমার স্বামী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় আমার ভাগিনা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে। মজিদ তার সন্তানদেরকে না ফিরিয়ে বরং সাথে নিয়ে আমার ভাশুর মোঃ আকমল হোসেন ও ছেলে মিলনকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে।

মজিদের বড় ছেলে সোহেল রানা আমার বড় বোন সাহেরা আক্তারের চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়া করে সেই সাথে পরনের পোশাক ছিড়ে ফেলে এবং আমার বোনের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও আমার ভাগিনার দামি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়। আমার স্বামীর অবস্থা খুবই খারাপ। মাথায় গুরুতর জখমের কারণে ডাক্তার ১২ টি সেলাই দিয়েছেন।‌ সে এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এ বিষয়ে মসজিদের বড় ছেলে মোঃ সোহেল রানার নিকটে জানতে চাইলে ঘটনা অস্বীকার করে। পরে বলে আমাদের নিজেদের মধ্যে একটু হাতা হাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কে আঘাত পেয়েছে আমি জানি না। আমরা নিজেরাই এর সমাধান করে নিব। এ নিয়ে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে।এ বিষয়ে যদি কেউ কিছু করতে চায় তাহলে পরে দেখা যাবে। উল্লেখ্য এ ঘটনায় গুরুতর আহত মোঃ ফজর আলীর স্ত্রী লিপি আক্তার ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে সোমবার শিবালয় থানায় মজিদ ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আরও খবর: সারাদেশ