সারাদেশ

শিক্ষকদের মারামারি, ভয়ে পালাল শিক্ষার্থীরা

  রাজবাড়ী অফিসঃ ৩ মার্চ ২০২৩ , ৮:৪৬:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় আক্কাস আলী মিয়া নামের এক সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মানিক বিশ্বাসসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভয়ে স্কুল ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরের দিকে সদর উপজেলার রূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

 

শিক্ষক আক্কাস আলী মিয়া জানান, তিনি প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে বিদ্যালয়ে যান। তবে অপর শিক্ষক মানিক বিশ্বাস কোনোদিনও যথাসময়ে স্কুলে আসেন না। বৃহস্পতিবার সাড়ে ৯টার দিকে জনৈক অভিভাবক সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে কল করে জানান বিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লতিফা রহমানের কাছে এ বিষয়ে কৈফিয়ত চান। অন্য শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানতে পেরে আক্কাস আলীকে সন্দেহ করেন যে তিনিই শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছেন। পরে এ নিয়ে মানিক বিশ্বাস অফিস কক্ষে আক্কাস আলীকে আটকে রেখে মারধর করে।

একপর্যায়ে নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল দেন আক্কাস আলী। এর কিছুক্ষণ পর রাজবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পুলিশের সামনেই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মানিক বিশ্বাস, মাহমুদুল ইসলাম জুয়েল, আলমগীর মৃধা, শিক্ষক মানিক বিশ্বাসের ছেলে ফাহিমসহ তাদের সঙ্গে আসা লোকজন তাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী দিনা বেগম, ভাইয়ের বউ আছিয়া বেগম ও চাচা বিল্লাল মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মানিক বিশ্বাস বলেন, তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আক্কাস আলী বিদ্যালয়ের জমি দখল করতে গেলে বাধা দেওয়ায় তাদের ওপর আক্কাস আলী চড়াও হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে হয়তো আহত হয়েছে।

তার ছেলের স্কুলে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে শুনে সে (ছেলে) এসেছিল।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লতিফা রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুলে এলে বিস্তারিত বলা যাবে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার জানান, তিনি একজন অভিভাবকের কল পেয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে কল দেন। সেসময় প্রধান শিক্ষক তাকে জানান, তিনি বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন। এর কিছু সময় পরই তিনি জানতে পারেন সেখানে মারামারি শুরু হয়েছে।

রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষক আক্কাস আলী মিয়া একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর: সারাদেশ