সারাদেশ

শ্যামনগরে শিক্ষক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে যে কারনে যড়যন্ত্র হয়

  প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২৪ , ১:০৮:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ডেস্ক রিপোর্ট

 

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ১২২ নং খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চললেও এক শ্রেণির অসাধু চক্রের রোষানলে পড়েছে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। অভিভাবকদের সাথে কথা হলে অনেকেই জানান, প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের কৌশলে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৮ টি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৩ টি পুরস্কার পান এই বিদ্যালয়। ইউনিয়নের মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত বলে জানা গেছে। গাবুরা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের জন্যে আরও তিনজন শিক্ষকের শুন্য পদে শিক্ষক প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। আগামীতে শিক্ষক সল্পতা পূর্ণ হলে লেখাপড়ার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক সহ ৩ জন শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয়টি ৪৩০ জন শিশুর পাঠদান করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের দ্বায়বদ্ধতা থেকে তারা কষ্ট হলেও বাচ্চাদের সু শিক্ষায় শিক্ষিত করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অবকাঠামো উন্নয়নের দিক থেকে অজপাড়া গাঁয়ের এই বিদ্যালয়টি উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ। যেমন ৪ তলা ভবন, প্রধান শিক্ষক কক্ষ, প্রাচীর, গেট, ওয়াশ ব্লক, শিশু পার্কসহ আধুনিক মানের পরিবেশ গড়ে তোলেন প্রধান শিক্ষকের একক প্রচেষ্টায়। এছাড়া শিক্ষকরা সেখান থেকে বদলি হয়ে চলে আসলেও প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বক্তব্য হচ্ছে আমি এই বিদ্যালয়ের ২০ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের নিজেদের সন্তানের মত গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। যার ফলে ইচ্ছে থাকলে এই বিদ্যলয়ের মায়া ছেড়ে অন্য কোথাও বদলি হওয়ার ইচ্ছে নেই। প্রধান শিক্ষকের হাত ধরে এই বিদ্যলয়ের সর্ব প্রথম ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি সহ গোল্ডেন প্লাস প্রাপ্ত হন অনেক শিক্ষার্থী। এই নীলাকাশ টুডেকে সাক্ষাতকারে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত কিছুর পরও কতিপয় কিছু ব্যক্তি আমাকে নিয়ে নানা ধরনের যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এবং উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রোষানলে রয়েছি। তারা বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সেটা আমি বিচিলিত নয়। কারণ মিথ্যা দিয়ে সত্য কে ঢাকা যাবে না। অন্য দিকে সরকারি নীতিমালার বাহিরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পারায় তারা বিভিন্ন ভাবে আমাকে নিয়ে যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এমন কি আকিজ কোম্পানি কতৃক ২০ লক্ষ টাকার পানির প্লান্ট বিদ্যালয়ে স্থাপিত হয়েছে কিন্তু সরকারি অনুমতি ছাড়া তারা পানির প্লান্টের সমস্ত মালামাল নিজ বাড়িতে নিয়ে পুনর্স্থাপন করেন। প্রধান শিক্ষককের অভিযোগে প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত পূর্বক মালামাল উদ্ধারের জন্যে শ্যামনগর থানা অফিসার কে লিখিত ভাবে নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনও সেই মালামাল উদ্ধার করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শিক্ষকের নায্য দাবি আদায়ে বদ্ধপরিকর থাকায় এক শ্রেণির স্বার্থনেশী মহল আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। যারা কাজ করে তাদের নিয়ে সমালোচনা হয়। আর যারা কাজ করে না, তাদের নিয়ে সমালোচনা হয় না।

আরও খবর: সারাদেশ