সারাদেশ

মেয়ের শ্লীলতাহানির ‘বিচার না পেয়ে বাবার আত্মহত্যা’

  নীলাকাশ টুডেঃ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১২:৩২:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

 

পঞ্চগড়ে কলেজছাত্রী মেয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু ‘সুরাহা না হওয়ায়’ তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্বজনদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেও তিনি বিচার পাননি। এ কারণে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন তারা।

মৃত ৫০ বছর বয়সী নিহত ব্যক্তির বাড়িও একই এলাকায়। পরিবারের আবেদনে তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নিহতের ছেলে বলেন, তার কলেজ পড়ুয়া বোনকে ১৭ জানুয়ারি রাতে প্রতিবেশী শ্যামল চন্দ্র বর্মণের ছেলে পলাশ চন্দ্র বর্মণ বাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পরিবারের লোকজন বাধা দিলে পলাশ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বোন আহত হলে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে পরিবারের ‘সম্মানহানি’ হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মাগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণের কাছে বিচার দাবি করলে তিনি বিষয়টি সমাধানের আশ্বস দেন। কিন্তু এরপর এক সপ্তাহেও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ২৪ জানুয়ারি তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বাবা।

“অভিযোগ পেয়ে চেয়ারম্যান ১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ ডাকলেও সেদিন বৈঠক বসেনি । এ অবস্থায় ন্যায় বিচার না পেয়ে বুধবার রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ির পাশে গাছের ডালের সঙ্গে গলায় চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়ে ১ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষকে বসার নোটিশ দিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযোগ যারা করেছেন তারাই আসেননি। তারা না আসলে কিভাবে সুরাহা করবো?”

এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানিয়েছেন।

আরও খবর: সারাদেশ