জাতীয়

মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে ফানুস, জানা গেল ক্ষতির পরিমাণ

  প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:১৮:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডেঃ ২০২২ সালকে বিদায় জানাতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানীতে ফানুস উড়িয়েছেন অনেকেই। আর এত করে নতুন বছরের প্রথম দিনই বিপাকে পড়ে মেট্রোরেলের যাত্রা। মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে ফানুস পড়ায় কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচল। এতে বড় অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে। রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।

মেট্রোর বৈদ্যুতিক তারে ফানুস পড়ায় দুর্ঘটনা রোধে রবিবার (১ জানুয়ারি) মেট্রোরেল চলাচল দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। অনেকে এসেও ফিরে গেছেন। বৈদ্যুতিক তার ফানুস মুক্ত হরে মেট্রোরেল চালু হলেও ছিল না পর্যাপ্ত যাত্রী। ফলে এদিন প্রায় ফাঁকা অবস্থায় চলাচল করেছে মেট্রোর কোচগুলো। এতে করে তৃতীয় দিনের থেকে চতুর্থ দিনে মেট্রোরেলে
বেশ কিছু রাজস্ব কমে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) থেকে জানানো হয় গত রবিবার (১ জানুয়ারি) মেট্রোরেলে তিন লাখ ১৫ হাজার ৩৭০ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।

সূত্র জানায়, চতুর্থ দিনে নয় লাখ ১৬ হাজার ৩৪০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে মেট্রোরেলে। রবিবার সিঙ্গেল জার্নি টিকিট (এসজেটি) বিক্রি হয়েছে তিন লাখ ৯৩ হাজার ৬৪০ টাকার, অথচ আগের দিন শনিবার পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৭১০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। রবিবার ছয় হাজার ৫২৮টি সিঙ্গেল টিকিট বিক্রি হয়েছে, শনিবার বিক্রি হয়েছিল নয় হাজার ২৮৯টি টিকিট।

চতুর্থ দিনে এমআরটি পাস টিকিট বিক্রি হয় এক হাজার ৩৮টি। প্রতি টিকিটের দাম ৬০টাকা ধরে আয় হয়েছে পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭০০ টাকা, এর আগের দিন পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৭১০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল।

সব মিলিয়ে শনিবার ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ টাকার টিকেট বিক্রি হলেও ফানুস ওড়ানোর জেরে রবিবার মাত্র নয় লাখ ১৬ হাজার ৩৪০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়।

এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সূত্র জানায়, চালুর প্রথম দিন (২৯ ডিসেম্বর) সব মিলিয়ে মোট তিন লাখ ৯৩ হাজার ৫২০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শুক্রবারে (৩০ ডিসেম্বর) মাত্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। অথচ প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিন ট্রিপ সংখ্যা ছিল ৫০টা। অর্থাৎ আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তরা স্টেশনে ২৫বার করে মেট্রোরেল যাতায়াত করেছে অর্থাৎ ট্রিপ সংখ্যা ৫০টি।

প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় তৃতীয় দিনে। তৃতীয় দিন শনিবার ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। অথচ চতুর্থ দিনে কমে নয় লাখ টাকা হয়েছে।

আরও খবর: জাতীয়