ভোটে হেরে ইউপি সদস্যকে মারধর করে সাজু কারাগারে

নীলাকাশ টুডেঃ নীলফামারীর ডোমারে ভোটে হেরে এক ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগে আতাউর রহমান সাজু নামে জেলা পরিষদের সাবেক এক সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে ডোমার থানা পুলিশ।

আতাউর রহমান সাজু উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নীলফামারী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন। গত ১৭ অক্টোবর নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাজু পরাজিত হন। তিনি পরাজিত হয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল খালেককে গ্রাম আদালত চলাকালীন সময়ে মারধর করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আতাউর রহমান সাজু সদস্য পদে নির্বাচনে দাঁড়ালে তার পক্ষে জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে বলেন তিনি। ইউপি সদস্যরা তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা না চালালে সাজু ইউনিয়নের সকল সদস্যদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এ ঘটনার জেরে গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদস্য আব্দুল খালেক ইউপি ভবনে প্রবেশ করলে সাজু ও তার লোকজন ইউপি ভবনে গিয়ে তাকে মারধর ও তার সঙ্গে থাকা জমি রেজিস্ট্রির জন্য রাখা টাকা চুরি করে। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ইউপি সদস্যরা আব্দুল খালেককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সাজুকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নামে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাত দেড়টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাজুকে গ্রেপ্তার করে।

ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল বলেন, ভোটে হারার পর থেকেই সে আমাদের নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন। আজকে সে ইউপি ভবনের ভিতরে এসে ইউপি সদস্যকে মারধর করেছেন। এর আগে সাজু আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য গোলাপী বেগম বলেন, ভোটে হারার পরে সাজু আমার স্বামীকে আটক করে আমার বিরুদ্ধে নানা কটু কথা বলেছেন।

ডোমার থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মাহামুদ উন নবী বলেন, ইউপি সদস্য আব্দুল খালেকের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চার আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।