সারাদেশ

ভূয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতারণা, মূলহোতা সহ প্রতারকচক্র র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ , ৫:০১:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ র‍্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‍্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

গোয়েন্দা তৎপরতা এবং বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৬ জানতে পারে যে খুলনা মহানগরীতে একটি প্রতারক চক্র ফেইসবুকে চাকরি দেয়ার চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেকার তরুণ তরুণীকে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান র্অথ হাতিয়ে নিচ্ছে। এরই সূত্র ধরে র‍্যাব-৬ স্পেশাল কোম্পানির গোয়েন্দা দল উক্ত প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা র্কাযক্রম জোরদার করে এবং উক্ত প্রতারক চক্রকে নীবিড় নজরদারীর মধ্যে রাখে। আভিযানিক দলটি গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে উক্ত প্রতারক চক্রটি বেশ কিছু তরুন তরুণীকে তাদের অফিসে আটকিয়ে রেখে জোরর্পূবক র্অথ আদায়ের চেষ্টা করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ ২০.০০ ঘটিকায় র‍্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানী) খুলনার একটি আভিযানিক দল উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন হাফিজনগর এলাকায় এন এইচ টাওয়ারের ০৬ তলায় অবস্থিত ওগ্নি কোম্পানি লিঃ এর অফিসে অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতা সহ প্রতারকচক্রের সদস্য ১। সৈয়দ তানভীর আহম্মেদ(৩১), পিতা-সৈয়দ আব্দুল গফ্ফার, সাং-নাউলি, থানা-অভয়নগর, জেলা-যশোর, ২। মোঃ সাহাবুদ্দিন(৪০), পিতা-আব্দুল সোবাহান মোল্লা, সাং-দেয়ারা, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা, ৩। মোঃ সোহেল(২৮), পিতা- মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, সাং-রাজাপুর(বাজারের দক্ষিন মাথা), থানা-রাজাপুর, জেলা-ঝালকাঠি, ৪। মোঃ রেজাউল করিম(৩০), পিতা-মোঃ হাসান মোল্লা, সাং-হাড়িদাহ, থানা-মোল্লারহাট, জেলা-বাগেরহাট, ৫। মোঃ জাহিনুর ইসলাম(২০), পিতা-শেখ নাজমুল, সাং-জাদবপুর, থানা-শ্যামনগর, সাতক্ষিরা, ৬। মোঃ জহিরুল ইসলাম(২০), পিতা-মোঃ আইয়ুব আলী হাওলাদার, সাং-বয়রা ফারুকিয়া ক্রস রোড, থানা-সোনাডাঙ্গা, জেলা-কেএমপি খুলনা, ৭। নাহিদ জাহান জুই(২৮), পিতা- মোঃ ওয়াদুধ মিয়া, সাং-গালুয়া, থানা-রাজাপুর, জেলা-ঝালকাঠিদেরকে গ্রেফতার করে এবং ভুক্তভোগীদরে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ভুক্তভোগীদরে নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য এবং আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে চক্রটি তরুণ তরুণীদরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদরেকে অফিসে ডেকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করতো এবং তাদেরকে আরো তরুণ তরুণীদেরকে ফাদে ফেলার জন্য কাজ করতে বাধ্য করতো। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে (ক) ১০ টি মোবাইল ফোন, (খ) ০৪ টি ল্যাপটপ, (গ) ৪০ টি ভর্তি ফরম, (ঘ) ৪৫ টি অঙ্গিকার নামা, (ঙ) ০১ টি সিসি ক্যামেরার ডিভাইস, (চ) ০৪ টি রেজিস্টার, (ছ) ৫৪,২১০/- টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেফতারকৃত আসামীগন প্রতারণার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করতঃ আসামীর বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা রুজুর কাজ প্রক্রিয়াধীন।

আরও খবর: সারাদেশ