জাতীয়

বৃষ্টি যে কয়দিন থাকবে যা বললো আবহাওয়া অফিস

  প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:০২:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডেঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজও বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবীরা। উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে ঝড়ো হাওয়া। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতায় থাকায় প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল। কোথাও কোথাও পানি উঠেছে শহরতলীতেও।

মঙ্গলবার (১৩ই সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা, হাতিরঝিল, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা। বাসা থেকে যারা ছাতা নিয়ে বেরিয়েছেন তারা কিছুটা রক্ষা পেলেও অনেককে ভিজতে হয়েছে। সড়কে পর্যাপ্ত রিকশা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।

এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে আরও দুই-একদিন বৃষ্টির এই ধারা চলার পর তা কমতে পারে। আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি স্থলভাগের ওপর দিয়ে আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

লঘুচাপের প্রভাবে ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরছে। আরও দুই-একদিন বৃষ্টির এই ধারা চলার পর তা কমতে পারে। আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি স্থলভাগের ওপর দিয়ে আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

এদিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা এবং বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে তলিয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টিপাত আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

এদিকে সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরায় রোববার থেকে মাঝে মধ্যে ঝড়ো হাওয়ার সাথে সাথে হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস। উপকূলীয় অঞ্চলে তিন নম্বর সর্তকতা সংকেত জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার জরাজীর্ণ ৩৫ টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

শ্যামনগরের গাবুরার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, রোববার থেকেই থেমে থেমে হালকা, মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারী বর্ষণের কারনে শতাধিক ঘের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া গাবুরা, নাপিতখালি, জেলেখালি, তিন নম্বর পোল্ডারসহ বিভিন্ন এলাকায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। ইতিমধ্যে নদীর পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের সময় বাঁধের কানায় কানায় পানি উঠছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের আওতায় মোট ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাধে মধ্যে জরাজীর্ণ ৩৫ টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ উপকূল রক্ষা বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার অনেক জায়গায় চলমান রয়েছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আগামী ২-১ দিন আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকবে তারপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়ে তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৯.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আরও খবর: জাতীয়