সারাদেশ

বিয়ে ঠিক হওয়ায় শ্যালিকার গাল-গলা কেটে দিলেন দুলাভাই

  নীলাকাশ টুডেঃ ১১ জুলাই ২০২৩ , ১২:৩৬:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলফামারীর জলঢাকায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে জলঢাকা থানায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই কিশোরীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরী শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন বেলাল হোসেন। অভিযুক্ত বেলাল হোসেন জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা বড় জুম্মাপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে।

 

 

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, আমার জামাই আমার ছোট মেয়েটার সঙ্গে এ রকম কাজ করবে চিন্তা করা যায় না। আমার মেয়ে কতনা কষ্ট পাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। তাড়াতাড়ি বেলালকে ধরে যেন পুলিশ জেলখানায় ঢুকায়।

ভুক্তভোগীর চাচা বলেন, পরিবারের সবার মতামতের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। আমাদের মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে তা কল্পনার বাহিরে। আমরা চাই পুলিশ যেন দ্রুত আসামিকে ধরে আইনের আওতায় আনে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে ওই কিশোরীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। বিয়েতে রাজি ছিলেন না মেয়েটির দুলাভাই বেলাল হোসেন। এরপরও বিয়ের আলোচনা চলায় ক্ষুদ্ধ ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন পরিবারের লোকজন বাহিরে অবস্থান করায় বেলাল মেয়েটিকে বাড়ির পেছনে ডাক দেন। মেয়েটি বাড়ির পেছনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বেলাল। পরে ব্যর্থ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিশোরীর গলা ও গাল কেটে দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল আলম বলেন, মেয়েটাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার গাল কাটা হয়। এছাড়াও গলায় কাটার দাগ আছে। মেয়েটা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি।

আরও খবর: সারাদেশ