জাতীয়

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করবে

  ঢাকা অফিসঃ ২৪ জুন ২০২৩ , ১:৫০:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসী দল বিএনপি-জামায়াত দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে নেমেছে। আবারও ক্ষমতায় গেলে তারা দেশকে ধ্বংস করবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র আছে। কিন্তু এ দেশকে নিয়ে যেন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।

আলোচনা সভায় ২০০১ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল গ্যাস বিক্রি করতে হবে। আমি বলেছিলাম, এই গ্যাস জনগণের। বাংলাদেশের সম্পদ ক্ষমতার লোভে বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকব, সেই বাপের মেয়ে আমি নই। আমরা চাইনি, কিন্তু গ্যাস দেবেন বলে মুচলেকা দিলেন খালেদা জিয়া। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিলেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন– সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বাংলাভাই সৃষ্টি এবং দুর্নীতি-সন্ত্রাস করে ওই সন্ত্রাসের দল বিএনপি ভেবেছিল ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবে। জনগণের সম্পদ বেঁচে আর তাদের অর্থসম্পদ কেড়ে নিয়ে লুটপাট করবে। বাংলার মানুষকে তারা চেনেনি। লুটের টাকার জোরে ক্ষমতায় থাকা এদেশের মানুষ মেনে নেয়নি। ১৯৯৬ সালে ভোটচুরির কারণে জনগণ খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছে। ২০০৭ সালেও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ভোটচুরির ষড়যন্ত্র করছিল। এজন্য জনগণ দ্বারা বিতাড়িত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ একটা বিরাট পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। নৌকা মার্কায় জনগণ ভোট দিয়েছে বলেই আজকে এই পরিবর্তন এসেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ লাভবান হয়, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়– সেটি প্রমাণিত সত্য।

করোনা সংকট শেষে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক মন্দা তুলে ধরে তিনি বলেন, জানি একটু দুঃসময় যাচ্ছে। মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রাণপণ চেষ্টা করছি। বিত্তশালীদের প্রতিবেশী দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

তাঁর সরকারের পদক্ষেপের ফলে মানুষের জীবনমানের উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় মানুষ নুন-ভাত, পরে ডাল-ভাতের কথা বলত। আমরা মানুষকে এমন পর্যায়ে আনতে পেরেছি, এখন মাংস না পাওয়ার কথাই আসছে। চাহিদাটা বাড়াতে পেরেছি। চাহিদা যখন বাড়াতে পারছি সেটি পূর্ণ করতেও পারব।

লোডশেডিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও সংকটের কারণে মাঝে দেশের কয়লাভিত্তিক কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল। কিছু লোডশেডিং করতে হয়। আবার কয়লা আসা শুরু করেছে, লোডশেডিং থাকবে না। তবে মাঝে মধ্যে লোডশেডিং দিয়ে একটু মানুষকে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত, তারা কী অবস্থায় ছিল আর এখন কোথায় আছে।

টানা তিন মেয়াদে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সঙ্গে তাঁর সরকারের তুলনামূলক চিত্র বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মানুষ উপলব্ধি করেছে, সরকার জনগণের সেবক। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ২০২৬ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাব। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

আরও খবর: জাতীয়