সারাদেশ

বনভোজনের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৩ শতাধিক

  নীলাকাশ টুডেঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৩:৫৩:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা ভিলেজ হোলিডে রিসোর্টে বনভোজনে এসে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। অসুস্থ হওয়া সবাই নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার কড়িহাটি স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের খাবার খাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থদের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

বিদ্যালয়টির সাবেক ছাত্র অ্যাডভোকেট আমির হোসেন জানান, চাটখিলের কড়িহাটি স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন রয়েছে। মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টে (শুক্রবার) সংগঠনটির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠান ছিল। ২০টি মাইক্রোবাস, চারটি বাস ও একটি মিনি বাসে করে সাড়ে তিন শতাধিক মানুষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সকাল সাড়ে আটটার সময় তারা এখানে এসে পৌঁছান। খাবারের ব্যাপারে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি ছিল।

তারা সকাল-বিকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছিলেন। সকালের নাস্তা খাওয়ার পরে সবাই মোটামুটি সুস্থ ছিলেন। কিন্তু দুপুরের খাবারের পর কিছু লোকের পেটে পীড়া শুরু হয়। দুপুরের খাবারের মেনুতে ভাত, গরুর মাংস, মুরগির রোস্ট ও সবজি ছিল। তাদের ধারণা গরুর মাংসটি বাসি অথবা পচা ছিল, কারণ খাওয়ার সময় সেটি থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল।

সন্ধ্যায় নাস্তা দেওয়া হয়েছিল দুই রকমের পিঠা। এসব খাবার খাওয়ার পর একের পর এক মানুষ অসুস্থ হতে থাকেন। অসুস্থ ১৫/২০ জনকে স্থানীয় হাসপাতাল এবং ২০০ জনকে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কারো কারো অবস্থা এমন যে উঠে বসতে পারছেন না।

 

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন জানান, খাবারের বিষক্রিয়া থেকে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা তার। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছিল তারা তাদের নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

বিষয়টি সম্পর্কে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এ ব্যাপারে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

আরও খবর: সারাদেশ