জাতীয়

পেছনে কারা, এখনও অন্ধকারে পুলিশ

  প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২৪ , ৮:৩১:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডে

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রেলে যে নাশকতা হয়েছে– এর পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছে, সে বিষয়ে স্বচ্ছ তথ্য নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের জোগান কারা দিয়েছে, সে ব্যাপারেও অন্ধকারে পুলিশ।

গেল দেড় মাসে শুধু ঢাকা জেলার আওতাধীন এলাকায় ১৪ মামলা করেছে রেলওয়ে পুলিশ। সব মিলিয়ে ছোট-বড় ৪০টির বেশি নাশকতায় ৯ জনের প্রাণক্ষয় হয়েছে। দগ্ধ ও আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে গোপীবাগ ও তেজগাঁওয়ের ঘটনায়। নাশকতার আগুনের দুই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন আটজন।

বড় ঘটনা আর বেশি মৃত্যু হলেও গোপীবাগ ও তেজগাঁও নাশকতার তদন্ত খুব বেশি এগোয়নি। দুটি মামলার তদন্ত করছে রেলওয়ে পুলিশ। এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরের ভাওয়ালগড়ের বনখরিয়া রেললাইন কেটে বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা গেছে। তবে ওই নাশকতায় জড়িত কয়েকজন এখনও অধরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় পুলিশের ব্যস্ততার কারণে নাশকতার মামলার নিরবচ্ছিন্ন তদন্ত করা যায়নি। এসব ঘটনায় কয়েকজনকে ‘শনাক্ত’ করা গেছে– গোয়েন্দাদের তরফ থেকে এমন দাবি করা হলেও তাদের এখনও আইনের আওতায় আনা যায়নি।

রেলে নাশকতার ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপির দাবি, সরকারই এসব ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে।

নাশকতার ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছে রেলের সাতটি বগি; ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৯টি বগি ও একটি ইঞ্জিন। এ ছাড়া রেলপথ কেটে ফেলা, আগুন দেওয়া, ফিশপ্লেট তুলে নেওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের মতো বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে।

আরও খবর: জাতীয়