সারাদেশ

নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা, অফিস ভাঙচুর

  প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:০০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

 

শরীয়তপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন- নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব বেপারি (৩০), সিদ্দিকুর রহমান (৩৫) ও হৃদয় মীর (৩০)। তারা প্রত্যেকেই নৌকা প্রার্থীর সমর্থক বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকায় নৌকা প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীমের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে নির্বাচনী আলোচনা করছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব বেপারিসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মী। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী তার সমর্থকদের নিয়ে ওই পথ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার পথে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় ও অফিসের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। হামলায় আসাদুজ্জামান বিপ্লবসহ তিনজন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হামলার বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিমেল সরদার বলেন, আমরা অফিসে বসে নৌকা মার্কার প্রচারণার বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর অনুসারী হারুন খলিফা, আশিক, সাহিন, রবিন আল আমিন, সুজনসহ বেশ কয়েকজন আমাদের অফিসে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী বলেন, আমি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে আমার সমর্থকদের নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে আসছিলাম। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লবসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার গতিরোধ করে। এ সময় তারা আমার সমর্থক হারুন খলিফাকে মারধর করে। পরে আমার লোকজনসহ এলাকাবাসী বিপ্লবকে ধাওয়া করেছে। তবে কোনো ক্লাব ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে আমার মনে হচ্ছে এটা তাদের সাজানো নাটক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে শুনিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আরও খবর: সারাদেশ