সারাদেশ

নিম পাতার বাতাস আর ঝাড়ফুঁকে চলে সর্বরোগের চিকিৎসা!

  প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০:০২:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডেঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে স্বপ্নে রোগ সারানোর ক্ষমতা পেয়েছেন বলে দাবি করে সর্বরোগের চিকিৎসা করছেন আব্দুল মুকিত নামে এক ব্যক্তি। একগুচ্ছ নিম পাতা দিয়ে বাতাস, ঝাড়ফুঁক আর বিভিন্ন দাওয়ার মাধ্যমে ক্যানসারেরও চিকিৎসা করছেন তিনি। ৮ মাস ধরে শনিবার ও মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকশ মানুষ আসেন তার কাছে। মুকিতের চিকিৎসায় রোগ থেকে মুক্তি ও ভোগান্তি দুই ধরনেরই কথা রয়েছে এলাকায়। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আব্দুল মুকিত (৫৫) বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে তার। বর্তমানে ক্যানসার, প্যারালাইসিস, পাইলস, স্ট্রোক, মাজা ব্যথা, বাত-ব্যথা, জন্ডিস, হাঁপানিসহ সব ধরনের চিকিৎসা দেন তিনি। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার রাতে তার নিজের বাড়ির অদূরে লক্ষ্মীকান্ত মন্ডলের বাড়িতে বসে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন।

 

স্থানীয়দের দাবি, চিকিৎসাসেবাকে কেন্দ্র করে ৩৫ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ প্রভাবশালীরা রয়েছে। চিকিৎসাসেবা দিয়ে যে টাকা আয় হয়, সেই টাকা তারা ভাগ করে নেন। মুকিত তেমন কিছু পায় না।

শনিবার রাতে কবিরাজের বাড়ি মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামে লক্ষ্মীকান্তের বাড়িতে গিয়ে শতাধিক নারী-পুরুষের ভিড় দেখা যায়। ছোট একটি ঘরে থালার ওপর মোমবাতি জ্বালানো। সেই থালায় ৫-২০ টাকা পর্যন্ত রাখছেন লোকজন। সেই ঘরের পরেই আরেক ঘরে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে নিম-পাতা দিয়ে রোগীদের ঝাড়ফুঁক ও পরামর্শ দিচ্ছেন কবিরাজ আব্দুল মুকিত। বেশির ভাগ রোগীকে পথ্য হিসেবে কালোজিরা, সরিষার তেল ও মধু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

চিকিৎসার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কবিরাজ আব্দুল মুকিত বলেন, আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। প্রায় দুই যুগ আগে বিয়ে করলেও কোনো বাচ্চা হতো না আমার। দুই বছর আগে আল্লাহ আমাকে একটি সন্তান দিয়েছেন। বছর খানেক আগে রাতে ঘুমের ঘোরে কেউ একজন এসে আমাকে বলেন, তুই সুস্থ হয়ে যাবি। লাঠি ফেলে দে, তোর কাছে যারা আসবে তারাও সুস্থ হবে। তুই চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু কর। তারপর থেকে আমি নিজেও সুস্থ হয়ে যাই, আর মানুষদেরও চিকিৎসা দেওয়া শুরু করি। রাত ১০টার দিকে এশার নামাজ আদায় করেছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাত ১২টায় পড়ব। আর ফজরের নামাজের বিষয়ে বলেন, চিকিৎসা করতে করতে সারা রাত কেটে যায়। ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমাই।

আরও খবর: সারাদেশ