রাজনীতি

নতুন কর্মসূচি দিল বিএনপি

  নীলাকাশ টুডে ৯ আগস্ট ২০২৩ , ৭:৫০:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এবার নতুন কর্মসূচির কথা জানাল দলটি। আগামী ১১ আগস্ট রাজধানীতে গণমিছিল করবে বিএনপি। জুমার নামাজের পর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে।

বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

 

বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও এ কর্মসূচি পালন করবে। সর্বশেষ গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

একদফা দাবি আদায়ে ঢাকায় ২৮ জুলাই মহাসমাবেশের পর দিন রাজধানীর প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচি দেয় বিএনপি। সফল মহাসমাবেশের পর এমন কঠোর ও সাংঘর্ষিক কর্মসূচি নিয়ে নেতাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। কোন বিবেচনায় এবং কীভাবে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, নেতাকর্মীদের কাছে তা স্পষ্ট ছিল না। এমনকি দলের স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতাও আগে থেকে এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। ফলে কর্মসূচি বাস্তবায়নে আগে থেকে সুস্পষ্ট কোনো পরিকল্পনাও ছিল না। এতে সমন্বয়নহীনতার বিষয়টি সামনে আসে। কারণ, ঢাকার পাঁচটি প্রবেশপথে স্থায়ী কমিটির কোন সদস্য কোথায় থাকবেন, সেটা গভীর রাতে তাদের জানানো হয়। ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য নেতারা কে কোথায় থাকবেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা তা জানতে পারেননি। সে কারণে কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা সেভাবে নামতে পারেননি। ফলে কর্মসূচি সফল হয়নি। ঢাকার বাইরে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতাকে অবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।

বিএনপির হাইকমান্ড মনে করে, ঢাকার প্রবেশপথের প্রতিটি পয়েন্টে ২৫ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মী জড়ো হওয়া সম্ভব ছিল। কারণ, ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ ঘিরে সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মী তখন ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। আর প্রতিটি পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হলে পুলিশ এমন মারমুখী ভূমিকায় যেতে পারত না। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। আন্দোলনের গতিপথও পাল্টে যেত। দলটির পরিকল্পনা ছিল, ঢাকায় অবস্থানরত নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করে ঢাকাকেন্দ্রিক ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছানো। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী, নেতাকর্মীরা বেশ কিছুদিন ঢাকায় অবস্থানের প্রস্তুতি নিয়ে মহাসমাবেশেও এসেছিলেন।

 

আরও খবর: রাজনীতি