সারাদেশ

দেয়াল ধসে তিন সন্তানসহ মা নিহত

  প্রতিনিধি ১৭ নভেম্বর ২০২৩ , ২:১৮:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় ধসে মাটির দেয়াল চাপায় একই পরিবারের শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মৌলভীবাজার মরিচ্যাঘোনার ফকির আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে সাইদুল মোস্তফা (২০) ও দুই মেয়ে নিলুপা বেগম (১৮) ও সাদিয়া বেগম (১১)।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই মধ্যে হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মাটির দেয়াল চাপা পড়ে পাহাড়ের খাদে বসবাস করা একই পরিবারের চারজন নিহত হন। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা সেখানের মাটি সরিয়ে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বশির আহমদ জানান, ঘটনা জানার পর পর আশপাশের লোকজন উদ্ধার কাজ শুরু করেন। কিন্তু এরইমধ্যে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন এবং নগদ অর্থ ও চাল বিতরণ করেন।

মৃতদের প্রতি শোক জানিয়ে তিনি বলেন, আমার এলাকায় এ রকম ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি আমার পক্ষ থেকে তাদের জন্য দাফন-কাফনসহ সব ধরনের ব্যবস্থার জন্য সহযোগিতা করছি।

টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার মোকুল নাথ বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের ফোন করে জানায়নি। অন্য মাধ্যমে আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে আমরা জানতে পারি, ঘরটি মাটির ছিল এবং ঘরটি সম্প্রতি করা হয়েছিল। বৃষ্টিতে দেয়াল ভেজায় এবং চালের ওপর প্লাস্টিক দেওয়ায় দেয়াল ধসে যাওয়ার পর উপরের প্লাস্টিকের কারণে নিশ্বাস নিতে না পারায় মৃত্যু হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি মো. ওসমান গণি বলেন, আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। ঘরটি কাঁচা মাটি দিয়ে তৈরি ও বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার কারণে দেয়াল ধসের ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন। তবে ব্যাপারটি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, আমরা খবর শুনে তাদের দাফন কাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে আজকে নগদ ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। পরবর্তীতে প্রতিজনকে আরও ২৫ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা সরকারি ফান্ড থেকে অনুদান দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর: সারাদেশ