রাজনীতি

তপশিলের আগেই রাজপথে সমাধান করতে চায় বিএনপি

  ঢাকা অফিস ২৩ আগস্ট ২০২৩ , ৫:০৮:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে প্রায় অর্ধশত দলকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিলের আগেই রাজপথে এর সমাধান করতে চায় দলটি। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, এক্ষেত্রে আপসের কোনো সুযোগ নেই। ইসির পক্ষ থেকে নভেম্বরের কথা বলা হলেও বিএনপির কাছে তথ্য আছে, তাদের অপ্রস্তুত রেখে অক্টোবরের যে কোনো সময় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হতে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে দলটির হাইকমান্ড। তারা তপশিল ঘোষণা পর্যন্ত চলমান আন্দোলনকে টেনে নিয়ে যেতে চায় না।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে একদফার যুগপৎ আন্দোলন গতি লাভ করবে। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে গিয়ে আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেবে। ওই সময় ঢাকায় ফের মহাসমাবেশ, গণসমাবেশ বা বড় ধরনের কর্মসূচির চিন্তা রয়েছে হাইকমান্ডের। এর মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের ‘শেষ ধাপ’ শুরু হবে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যা চলমান থাকবে। তখন কর্মসূচি হবে ঢাকাকেন্দ্রিক। বিচারালয়ের সামনে অবস্থান ছাড়াও নির্বাচন কমিশন, গণভবন, সচিবালয়ের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাওয়ের সঙ্গে টানা অবস্থানের কর্মসূচি আসবে।

এর আগে দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে বিএনপি। আলোচনা সভা ছাড়াও বিশাল আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি করবে দলটি। নেতাকর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণে র‍্যালি একদফার কর্মসূচির মতো রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে হাইকমান্ড।

এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন করে ঢাকাসহ দেশব্যাপী দুদিনের গণমিছিলের কর্মসূচি আসছে। আগামী শুক্রবার ঢাকায় এবং পরদিন শনিবার ঢাকার বাইরে সব মহানগরে কালো পতাকা সহকারে গণমিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গত সোমবার দলটির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন এই কর্মসূচির বিষয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল ও জোটগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি। গতকাল রাতে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একদফার নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপির শরীকরা আজ বুধবার যুগপৎভাবে এই কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দাবি আদায় করবে।

সরকার বিরোধী আন্দোলন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২৮ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। সে সময় দলটির পরিকল্পনা ছিল, ঢাকাকেন্দ্রিক লাগাতার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দ্রুততম সময়ে আন্দোলনকে লক্ষ্যে পৌঁছানো। কারণ, মহাসমাবেশ ঘিরে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ নেতাকর্মী তখন ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। পরদিন ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি দলের চাহিদা অনুযায়ী বাস্তবায়িত না হওয়ায় নতুন চিন্তাভাবনা শুরু করে হাইকমান্ড। নেতাকর্মীরা লাগাতার কর্মসূচির পরিকল্পনা থেকে সরে এসে বিরতি দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী, চলতি আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত নরম কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

আরও খবর: রাজনীতি