জাতীয়

ঢাকায় দফায় দফায় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের যা বললো উজরা জেয়া

  নিজস্ব প্রতিনিধি ১৪ জুলাই ২০২৩ , ৩:০৯:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নির্বাচন এবং শাসন ব্যবস্থায় বাংলাদেশির ব্যাপক অংশগ্রহণের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের প্রত্যাশার বার্তা দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিদল।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলটি এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংলাপের প্রত্যাশার কথাও ব্যক্ত করেছে।

তারা বলেছেন, আমরা সংলাপের পক্ষে। তবে এর সঙ্গে (সংলাপ) আমরা যুক্ত নই। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের প্রধান উজরা জেয়া। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

বৈঠকে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারিকে র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সচিব বলেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলী কৌরসহ বিভিন্ন খাতের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা নির্বাচন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উজরা জেয়া বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের স্বীকৃতি দিতে আমি এখানে এসেছি। যুক্তরাষ্ট্র এই সম্পর্ককে আরও নিবিড় করতে চায়। অবাধ ও মুক্ত ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, পাঁচ দশক ধরে দুই দেশের চমৎকার সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট।

বাইডেন প্রশাসনের বার্তা স্পষ্ট হয় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতির মাধ্যমে। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দৃষ্টিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারণা দিয়েছে। এতে সুশীল সমাজ ও স্বাধীন মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, মানবাধিকারের উন্নয়ন ও মৌলিক স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতা এবং শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে।

এসব আলোচনায় ঘুরেফিরেই এসেছে কোনো প্রকার ভয়ভীতি ছাড়াই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের কথা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন প্রসঙ্গে সরকারের তরফে বলা হয়, সেপ্টেম্বর নাগাদ আইনের সংশোধন করা হবে। এদিকে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের মাধ্যমে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের বিষয়টি ব্যক্ত হয়েছে।

উজরা জেয়া সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখতে চায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি সরকারের একাধিক মন্ত্রী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। নির্বাচনের আগে বড় দুই দলের মধ্যে সংলাপের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উজরা জেয়া বলেন, আমরা সবাই সংলাপের পক্ষে। তবে এই প্রক্রিয়ায় আমরা সরাসরি যুক্ত নই। এই সফরে নির্বাচনের কথা বারবারই এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার অঙ্গীকার করেছেন। উজরা জেয়া নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার প্রতি জোর দিয়েছেন।

আরও খবর: জাতীয়