সারাদেশ

চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২২ , ২:৩৫:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডেঃ ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এক ঠিকাদারের কাছে থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদের ফরিদপুরের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন, সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল খান (২৫), উপজেলা ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি আবু মুসা ওরফে প্রিন্স মুসা (২২) ও জসীম মোল্যা (২০) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। গ্রেফতারকৃত সবার বাড়িই উপজেলার মাঠ সালথা নামক এলাকায়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ও থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্র জানা যায়, ফরিদপুরের তাসা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি উপজেলা সদরের মাঠ সালথার কলেজ রোড এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উক্ত কাজের মালামালের ট্রলি আটকিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন ৮-১০ জন যুবক। এসময় ট্রলির ড্রাইভারকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে ও রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে ঠিকাদার থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে।

এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে তাসা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার কয়েকজন যুবক কক্সবাজারে যাবার খরচ চেয়ে রাস্তার মালামালের ট্রলি গাড়ি আটকিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর আগে তাদের ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে দাবি এ ঠিকাদারের। পরে চাঁদাদাবির বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে থানাতে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে গ্রেফতারকৃত উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু মুসার ভাই ইলিয়াস মোল্যা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার ভাইসহ স্থানীয় কয়েকজন ছেলেপেলে প্রতিবাদ করেন। তাদের কাছে চাঁদাদাবির বিষয়টি ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় বলেন, ছাত্রলীগ ভালো কাজ করলে সুনাম হয়, আবার খারাপ কাজের সাথে জড়িত হলে দুর্নাম পুরো সংগঠনের উপর পড়ে। তবে, আমি বিষয়টি শুনেছি।

সেখানকার একটি পক্ষ বলছে রাস্তার নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে কাজের বাঁধা দেওয়া হয়েছে। আবার, আরেকটি পক্ষ বলছে ট্রলি থামিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেছে। তাই আমরা সত্য মিথ্যা যাচাই করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে সাংগঠনিক ভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে থানাতে একটি এজাহার দায়েরের পর তিন যুবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কি-না তা আমার জানা নেই। গ্রেফকৃতদের দুপুরে ফরিদপুরের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও খবর: সারাদেশ