সারাদেশ

গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবসার জন্য যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন

  প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২২ , ৬:২৫:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডেঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবসার জন্য স্ত্রী মোহতারামা আক্তার কুলসুমের কাছে পনের লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্বামী আসাদ উল্লাহ খাঁন। বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে না দেওয়ায় দুই সন্তানের জননী কুলসুমকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলার পূর্ব কেওয়াবুনিয়া গ্রামে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে পূর্ব কেওয়াবুনিয়া গ্রামের ওহাব খাঁনের ছেলে আসাদ উল্লাহ খাঁনের সঙ্গে ঘোপখালী গ্রামের মোক্তার আলী কন্যার মোহতারামা আক্তার কুলসুমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে স্বামী আসাদ উল্লাহ যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। ওই দম্পতির দুইটি সন্তান রয়েছে। সন্তানের মুখের দিয়ে তাকিয়ে কুলসুম নীরবে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে আসছেন।

গত ১৬ বছরে স্ত্রী কুলসুম বাবার বাড়ি থেকে তাকে ৮ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিয়েছেন এমন দাবি স্ত্রী কুলসুমের। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যবসার কথা বলে গত জুন মাসে স্ত্রী কুলসুমকে তার বাবার বাড়ি থেকে পনের লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে স্বামী আসাদ উল্লাহ। কিন্তু কুলসুম এ টাকা এনে দিতে অস্বীকার করেন।

এ নিয়ে বেশ কয়েক দফায় তার স্বামী কুলসুমকে মারধর করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামী আসাদ উল্লাহ স্ত্রী কুলসুমকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু স্ত্রী এতো টাকা এনে দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন।

এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, স্বামী আসাদ উল্লাহ গত আট বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ওই বিয়ের খবর এতো বছর গোপন ছিল। গত দুই মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ের খবর ফাঁস হয়। এরপর থেকে তার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায় বলে জানান কুলসুম।

কুলসুমের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে তালহা মনি বলেন, বাবা টাকার জন্য মাকে প্রায়ই মারধর করে।

নারী ইউপি সদস্য মোসা. সুমী আক্তার বলেন, কুলসুমকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যতদূর জেনেছি স্বামী আসাদুজ্জামান ব্যবসা করতে কুলসুমের বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে বলে। ওই টাকা না দেওয়ায় নির্যাতন করেছে।

স্বামী আসাদ উল্লাহ খাঁন যৌতুক দাবীর কথা অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় রাগের বশবর্তী হয়ে মারধর করেছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. সুমন বিশ্বাস বলেন, ওই নারীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর: সারাদেশ