জাতীয়

খালের জায়গায় ১০ তলা ভবন ভেঙে দিল কতৃপক্ষ!

  প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৫:১১:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডে

 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার লাউতলা খালের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নির্মাণাধীন ১০ তলা একটি ভবনসহ ৩টি স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। শুক্রবার দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি খাল পরিষ্কার করে সংস্থাটির কর্মীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিডি ক্লিনের দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

অভিযান শুরুর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে বছিলায় অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চল পুলিশ লাইন মাঠে (বছিলা ট্রেনিং একাডেমি) ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বিডি ক্লিনের স্বেচ্ছাসেবীদের শপথবাক্য পাঠ করান। সেখানে তিনি বলেন, খালে যারা ময়লা ফেলেন, তাদের মস্তিষ্কে ময়লা আছে। তাদের মনে ময়লা আছে। তারা সুনাগরিক নন। খালে ময়লা ফেলে নিজেদের সুনাগরিক দাবি করা যায় না।

 

সকাল ১০টার দিকে রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দিতে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম হাতে গ্লাভস পরে নিজে খালের ময়লা পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েন। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মৃত খালকে জীবিত করতে চাই। এখন কোনো দখলদারকে নোটিশ দেওয়া হবে না। খালের ১০০ ফুটের মধ্যে যা যা পড়বে, সব ভেঙে ফেলা হবে। অবৈধ স্থাপনা ভাঙা না হলে দেখাদেখি আরেকজন খাল দখল করবেন।

বেলা ১১টার দিকে লাউতলা খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। প্রথমে খালের মোহনার জায়গা দখল করে বানানো একটি আধাপাকা ও একটি পাকা স্থাপনা ভাঙা হয়। এরপর শুরু হয় খালের পাড়ে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন ভাঙার কাজ। মেয়রের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসি অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনটির ৭০ ভাগই খালের জায়গার ওপর বানানো হয়েছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনটির অবৈধ অংশ ডিএনসিসি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে।’

প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, ছয়টি বিশেষ বুলডোজার ও এক্সকেভেটরসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অবৈধ ভবন ভাঙা হয়। আর খালের সীমানায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবন ভাঙার কাজ চলমান থাকবে।

আরও খবর: জাতীয়