আন্তর্জাতিক

এমপিদের ঘুষ দিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন!

  প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২২ , ৭:৫০:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডেঃ এমপিদের ঘুস, প্রধানমন্ত্রিত্বের লালসা, বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সমর্থন কিনেছেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।

দেশটির ফোরফ্রন্ট সোশিয়ালিস্ট পার্টির শিক্ষা সহকারী পুবুদু জাগোদা শুক্রবার এক বক্তব্যে এই দাবি করেন। বলেন, বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতেই রনিলের প্রস্তাবের দ্বারস্থ হয়েছেন এমপি-মন্ত্রীরা।

সংকটকেন্দ্রিক বিক্ষোভের নানান পর্যায় এমপি-মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা থেকে শুরু করে মারধরও করা হয়। আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়া হয় তাদের বাড়ি আর বিলাসবহুল গাড়ি। সেই ভয়ানক চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এমপি-মন্ত্রীরা বেছে নেন এমন পথ।

যদিও এমন বিচিত্র পন্থায় ঘুস গ্রহণের খবর হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছেন সাবেক গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী সুদর্শন গুনবলদেনা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করা গুনবলদেনা বলেন, এসব তথ্য ভিত্তিহীন।

এদিকে, ন্যাশনাল ফ্রিডম ফ্রন্টের (এনএফএফ) দলনেতা বিমল বীরাবানসা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘রনিল অ্যান্ড কোং’ শ্রীলংকাকে শেষ করে ছাড়বে।

তাকে ক্ষমতায় আনা ব্যক্তিবর্গ দেশকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে। তার মতে, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই রক্ত ঝরবে শ্রীলংকার রাস্তায়।

এরপর ভারতীয় এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী সেনারা আসবে দেশে। বীরাবানসা বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের কোনো দলনেতা এবং সুসঙ্গত কৌশল না থাকায় এমন মানুষ জয়ী হয়েছেন যিনি এখন চড়াও হচ্ছেন বিক্ষোভকারীদের ওপর।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিক্ষোভ গোতাবায়াকে বাড়ি পাঠিয়ে, পথ খুলে দিয়েছে রনিলের জন্য। আমার মনে হয় না বিক্ষোভকারীরা এমটা চেয়েছিলেন। তাই আমাদের এখন দেখতে হবে এটা কিভাবে হলো?’

বীরাবাসনা চিহ্নিত করে বলেন, বিক্ষোভকারীরা গোতাবায়ার দিকে অগ্রসর হলে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে সরে আসেন তিনি। কারণ, শক্তি প্রদর্শন করতে চাননি তিনি। অপর দিকে, রনিলের মধ্যে থাকবে না এমন কোনো জড়তা। তিনি আরও বলেন, ‘বিক্ষোভটির মধ্যে কোনো নেতৃত্ব ছিল না।

তাদের মধ্যে অনেকে নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কোনো মতবাদ, নিদের্শিকা কিংবা কৌশল কোনোটিই চাননি। যখন আপনি পরিকল্পনাবিহীন কাজ করেন, তখন এমনই হয়।’

এনএফএফের প্রধানের মতে, প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে একটুও দ্বিধাবোধ করবেন না শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে। কারণ, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের বিশেষজ্ঞ রনিল বিক্রমাসিংহে।

বীরাবাসনা মনে করেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো পর্যাপ্ত যোগ্যতা নেই বিক্রমাসিংহের। তিনি বলেন, ‘রনিলের নেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। না আছে স্বাদেশিক বৈধতা।

তাকে কেন কোনো দেশি অথবা আন্তর্জাতিক পর্ষদ স্বীকৃতি দেবে? রনিলের একমাত্র পরিকল্পনা হলো আইএমএফে যাওয়া। কিন্তু দু-এক মাসের মধ্যেই অর্থনৈতিক সংকট আবার বেড়ে যাবে। কারণ, শ্রমিকরা বন্ধ করে দেবে অর্থ পাঠানো। সাহায্যের হাত বাড়াবে না কোনো দেশ।

আবার রাস্তায় নামবে মানুষ এবং তাদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করতে পিছপা হবেন না রনিল। রক্ত ঝরবে আমাদের দেশে। দুর্যোগের দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশ এবং এটি থামানোর জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে সবাইকে।

আরও খবর: আন্তর্জাতিক