সারাদেশ

‘এবার নাকি ভোট দিতি কোনো অসুবিধে হবে না।’

  প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২৪ , ৮:২৩:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডে

আগের দুই সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি আবুল কাশেম; যে কারণে এবারও ভেবেছিলেন কেন্দ্রে যাবেন না। তবে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের আনাগোনায় চিন্তায় পড়েছেন খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাসিন্দা কাশেম। তিনি কপিলমুনি বাজারে শাকসবজির ব্যবসা করেন।

কাশেমের ভাষায়, ‘ভাবছিলাম এবার ভোটকেন্দ্রে যাব না। কারণ আগের দুইবারই ভোট দিতি পারিনি। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে, ভোট দিতি না গেলি শুনবে না। দুই প্রার্থীর কর্মীরা যেভাবে লাইগে আছে, তাতে না যাইয়ে উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরুষ কর্মীরা বেরিয়ে যাতি না যাতি মহিলা কর্মীরা আসেন। তারা ভোটকেন্দ্রে যাতি নানাভাবে বুঝাচ্ছেন। বলছেন, এবার নাকি ভোট দিতি কোনো অসুবিধে হবে না।’
পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনের ভোটার কাশেম। গত শনিবার তাঁর সঙ্গে কথা হয় কপিলমুনি বাজারে। সেখানে একই রকম তথ্য দেন খুলনার সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত শামীম হোসেন। এই প্রথমবার ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে তাঁর। শামীম জানালেন, শুরুর দিকে আগের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন হবে বলে মনে করছিলেন। তবে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের তৎপরতায় তাঁর ধারণা বদলেছে। তিনি বলেন, ‘সাত প্রার্থী থাকলেও মাঠে আছেন দু’জন। সুযোগ পেলে পছন্দের প্রার্থীকে জীবনের প্রথম ভোট দেব।’

আসন্ন নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু। দল নৌকার দায়িত্ব দিয়েছে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রশীদুজ্জামানকে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম। অন্য আরও পাঁচ জন প্রার্থী রয়েছেন তবে সেই সব প্রার্থীদের পক্ষে তেমন প্রচার নেই। কারও কর্মীর দেখাও মেলেনি।

স্থানীয়দের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের দুই নেতার কর্মীরাই নির্বাচনী মাঠ চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পালাক্রমে চলছে প্রচার। এক প্রার্থীর কর্মী বেরিয়ে যেতে না যেতেই আরেক প্রার্থীর কর্মীরা ঢুকে পড়ছেন ভোটারের বাড়ি। তবে কয়েকজন ভোটার জানিয়েছেন, নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ার চাইতে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ানোর দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য তারা মনে করছেন, নির্বাচনকে অংশগ্রহণ মূলক দেখানোই মূল লক্ষ্য কর্মীদের।

 

আরও খবর: সারাদেশ