সারাদেশ

এবারের নির্বাচনে আবারও আলোচনায় শিবালয় উপজেলায় চেয়ারম্যান

  প্রতিনিধি ৮ মার্চ ২০২৪ , ১:২৯:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ রাজিব হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার

 

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগাম প্রচার- প্রচারণার অংশ হিসেবে হাট – বাজার, মসজিদ, মন্দির পাড়া মহল্লায় গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আগামী ১১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট প্রার্থীর তালিকায় আছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেজাউর রহমান খান জানু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রহিম খান ও মোবারক হোসেন খান (পান্নু)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে, বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন লালন, সাবেক ভাইস – চেয়ারম্যান আলী আহসান(মিঠু)ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা (সাংবাদিক) দেবাশীষ ঘোষ জয়সহ আরও ২ জন প্রার্থী।

এছাড়াও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান রুনা আক্তার, সাবেক ভাইস- চেয়ারম্যান লতা আক্তারসহ আরও কয়েকজন নারী প্রার্থী।

তবে ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নিয়ে তেমন আলোচনা না থাকলেও। ভোটাররা চেয়ারম্যান পদে কে হতে যাচ্ছেন আগামীদিনে উপজেলা পরিষদের কান্ডারি। সে বিষয়ে আগাম হিসেব কষতে শুরু করেছে। এরমধ্যেই আলোচনার শীর্ষে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ক্লিন ইমেজের স্পষ্টভাষী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেজাউর রহমান খান (জানু)। নিয়মিত পরিষদের অফিস করা ও সদালাপী হওয়ার কারনে উপজেলার সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন গত পাঁচ বছরে। এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা পরিষদসহ এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসাসহ চরাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।

তাছাড়াও, বীর মক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউর রহমান খান (জানু) দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

রণাঙ্গনের এ বীর মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক ঐতিহ্য মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের স্বাধীনতার সাথে আঙ্গাআঙ্গি ভাবে জড়িত। দেশকে স্বাধীন করতে একই পরিবারের ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন অস্র হাতে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। তার বড় ভাই প্রয়াত বীর মক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ খান সাবেক এমপি ছিলেন। ছোট ভাই প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান খান (সুলতান) একাধারে ২ যুগের বেশি সময় আরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সহিত দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তার ভাইয়ের ছেলে মুন্তাকিম রহমান খান (অনিক) আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

চরাঞ্চলের বাসিন্দা মোতালেব মোল্লা বলেন, আমরা ভোট দিমু জানু কাকারে। বিপদে -আপদে সবসময় জানু কাকারে পাশে পাই। জানু কাকা সৎ মানুষ। উনার কাছে আমরা সহজেই যাইতে পারি। পরিষদের অফিসে থাকেন সবসময়। যেকোনো প্রয়োজনে ফোন দিলেই কাছে পাই আমরা। জানু কাকারে ভোট দিমুনা তো আর কারে ভোট দিমু আমরা।

খানপুর এলাকার সুলতানা আক্তার বলেন, জানু কাকার আগেও ২ জন উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলো। কেউ কোন কাজ করে নাই, জানু কাকা চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকার অনেক উন্নয়ন হইছে। যহন তহন তারে বিপদে আপদে ডাকলেই পাওয়া যায়। এইবারো আমরা জানু কাকারেই ভোট দিমু।

ভাকলা এলাকার রাজ্জাক বলেন, দলমতের উর্দ্ধে থেকে সবসময় জানু ভাই সকল মানুষের পাশে থাকেন। তার কাছে যাইতে কারো দালাল ধরতে হয়না বা দেখা করতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়না। যখন খুশি তখন যাওয়া যায়। তিনি অনেক আন্তরিক মানুষ এবারও বিপুল ভোটে জানু ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

টেপড়া এলাকার রোজি আক্তার বলেন, আমি গর্ভবতী ভাতার জন্য এর দুয়ার ওর দুয়ারে ঘুরছিলাম কিন্তু কোন কাজ হচ্ছিলোনা। এরপর উপায়ন্ত না পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে গেলে উনি আমার ভাতা কার্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দেন। উনি অনেক ভালো মানুষ। উনি এবারও বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন। উনার কথা উপজেলার সবার মুখে মুখে শোনা যায়।

মহাদেবপুর ইউনিয়নের বিকাশ দাস বলেন, জানু দাদা উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার মসজিদ- মন্দির সব জায়গায় উন্নয়ন করছে। উনি সৎ- সাহসী একজন চেয়ারম্যান। সব সময় অন্যায়ের বিপক্ষে লড়ে যান তিনি। জানু দাদারে ভোট দিমুনা তো কারে আমরা ভোট দিমু? আমরা জানু দাদার উপর ভরসা রাখি সবসময়। উনারেই ভোট দিমু আমরা সবাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেজাউর রহমান খান (জানু) বলেন, একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্রহাতে রণাঙ্গনে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার সকল শ্রেণী পেশায় মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে আরেকটি যুদ্ধ করছি। উপজেলাবাসীর জীবন-মানের আরও উন্নয়নে আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ে যেতে চাই। আশাকরি উপজেলার জনগণ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে সারাজীবন তাদের পাশে থাকার সুযোগ করে দেবেন আমাকে।

উল্লেখ্য, তেওতা, উথলী, শিবালয়, উলাইল, আরুয়া,মহাদেবপুর ও শিমুলিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলা।

আরও খবর: সারাদেশ