সারাদেশ

একই সঙ্গে বিসিএস ক্যাডার হলেন স্বামী-স্ত্রী 

  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ১৯ আগস্ট ২০২৩ , ৯:৪৭:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

সহপাঠী থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম, অতঃপর বিয়ে। এরপর দুজন এক সঙ্গে হলেন বিসিএস ক্যাডার। আর এই দম্পতি হলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুসফিকুর রহমান সিফাত ও ফাতেমা তুজ্জোহরা শোভা।

সম্প্রতি প্রকাশিত ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে সিফাত কৃষি ক্যাডারে ও শোভা কর ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই সাফল্যের পেছনে একে অপরকে অনুপ্রেরণা মনে করেন তারা দুজন।

বাকৃবিতে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে কৃষি অনুষদের ভর্তি হন সিফাত ও শোভা। এরপর কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তারা। ২০২২ সালের ৩ মার্চ বিয়ে হয় তাদের। তবে বিসিএসের জন্য এক সঙ্গে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন অনার্স চতুর্থ বর্ষ থেকে। ক্লাস শেষে লাইব্রেরীতে বিসিএস এর গুরুত্বপূর্ণ পড়াশোনা নিয়ে প্রতিদিনই আলোচনা করতেন তারা। পড়াশোনার প্রতি বোঝাপড়াটাই বিয়ের পরবর্তী সময়ে তাদের চাকরির পড়াশোনার প্রস্তুতিকে ধরে রাখতে সহায়তা করেছে বলে মনে করেন শোভা।

তিনি বলেন, আমাদের গল্প ও অবসর সবকিছুই ছিল চাকরি ও বিসিএস এর পড়াশোনা বিষয় ভিত্তিক। এ বিষয়গুলো যখন আমরা আলোচনা করতাম তখন কেউই বিরক্ত বোধ করতাম না। বরং পরস্পর থেকে আরও অনেক কিছু শিখতাম। লিখিত পরীক্ষায় দুইজন পাস করার পর ভাইবার প্রস্তুতি হিসেবে আমরা পরস্পরকে সব সময় ভাইবার প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করতাম। বিকেলে চা খাওয়া বা রাতে ঘুমানোর আগে হঠাৎই আমরা এই প্রশ্নগুলো একে অপরকে জিজ্ঞাসা করতাম। যাতে আমরা যেকোনো সময় যে কোন প্রশ্নে ঘাবড়ে না যাই। এ বিষয়গুলোই আমাকে ভাইবা বোর্ড আত্মবিশ্বাসী করতে সহায়তা করেছে। ভাইবা বোর্ডে মনে হচ্ছিল আমি সাধারণভাবেই কথা বলছি। বিনয়ের সঙ্গে প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর করেছি। এতে করে ভাইবা বোর্ডের বিজ্ঞ স্যারেরা আমার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন।

জীবনসঙ্গী হিসেবে পাশে থাকা, দুঃসময়ে সমর্থন দিয়ে যাওয়া কিংবা বিয়ের পর সংসার সামলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া- সবকিছুতেই স্বামী সিফাতকে কৃতিত্ব দিলেন শোভা। তিনি জানান, আমার স্বামী আমার বন্ধু। ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল দিতে যখন অনেকটা সময় লেগে গেল, সেই কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণে তিনি আমাকে সহায়তা করেছেন। আমি মনে করি, বিয়ের পরবর্তী সময়ে একটি মেয়ের জন্য পড়াশোনা ধরে রাখা বেশ কঠিন। আমার ক্ষেত্রে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, বাবা-মা, বোন ও স্বামীর ব্যাপক সাপোর্ট ছিল, যা মানসিকভাবে আমাকে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করেছে।

আরও খবর: সারাদেশ