জাতীয়

‘আব্বা বাহিনী’র দখলে থাকা বাড়ি ১০ মাস পর উদ্ধার

  প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ২:০৬:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডে

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জে আলোচিত ‘আব্বা বাহিনীর’ হাতে দখল হওয়ার ১০ মাস পর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে নিজবাড়ি ফিরে পেলেন গৃহবধূ মরিয়ম বেগম।

আজ সোমবার দুপুর ১২টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরির্দশক (তদন্ত) সরজিৎ কুমারের নেতৃত্বে ইকুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাড়িটি দখলমুক্ত করে ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগমের কাছে বুঝিয়ে দেন।

জানা গেছে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চর মিরেরবাগ এলাকায় গতবছরের ১১ এপ্রিল নিজের বাড়ির সামনে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় আব্বা বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে শিশু সন্তানদের নিয়ে তিনদিন গৃহবন্দী ছিলেন মরিয়ম বেগম। পরে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ -এ ফোন করে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। এরপরই বাড়িটি দখল করে নেয় আব্বা বাহিনীর সদস্যরা। বাড়িটি দখলমুক্ত করে নিজ বাড়িতে বসবাসের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন ভুক্তভোগী। কোথাও বিচার পাননি তিনি, থানা পুলিশ তার মামলা পর্যন্ত নেয়নি।

আলোচিত রাসেল হত্যাকাণ্ডের হোতা আফতাব উদ্দিন রাব্বিসহ গত ১১ জানুয়ারি আব্বা বাহিনীর সদস্যরা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মরিয়ম বেগমের বাড়ি দখলের ঘটনাটি আলোচনায় আসে। বিষয়টি জানতে পেয়ে প্রায় ১০ মাস পরে সেই বাড়িটি আবার দখলমুক্ত করে ভুক্তভোগীর কাছে ফিরিয়ে দিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

বাড়িটি ফিরে পেয়ে ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম বলেন, ‘১০ মাস পরে নিজ বাড়িতে ফেরার যে অনুভূতি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে আমার সাজানো সংসার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরের ভেতরে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আলমারি ও শোকেস সব ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আলমারিতে থাকা আমার স্বর্ণালংকার ও বাড়ির দলিলের কাগজপত্র সব লুট করে নিয়ে গেছে। ৯৯৯-এর সহযোগিতায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ১২ ঘণ্টা আমাকে ফাঁড়িতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আমার কোনো অভিযোগ নেওয়া হয়নি। দশ মাস আমি আত্মীয়-স্বজনের কাছে ও ভাড়া বাসায় থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কোনো বিচার পাইনি।’

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে তাদের বাড়িটি উদ্ধার করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সে বাড়ি থেকে কোনো কিছু খোয়া গেছে কি না সে বিষয় ভুক্তভোগী পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করব।

আরও খবর: জাতীয়