সারাদেশ

আদমদীঘিতে চ্যালেঞ্জিং অভিযান পরিচালনা করে মানুষের হৃদয়ে ইউএনও টুকটুক তালুকদার

  মোঃ সামছুল আলম, বগুড়া প্রতিনিধিঃ ২১ মার্চ ২০২৩ , ৪:৫০:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

 

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট টুকটুক তালুকদার আদমদীঘিতে ইউএনও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই কয়েকটি চ্যালেজ্জিং অভিযান চালিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জয় করে নিয়েছেন এবং সেই সাথে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়েছেন। জানা গেছে তিনি বগুড়া জেলার মধ্যে রেকর্ড পরিমান অভিযান পরিচালনা করেন এলাকার জনসাধারণ ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থে।

ইতোপূর্বে অনেক ইউএনও আদমদীঘিতে দায়িত্ব পালন করলেও কিছু রাঘব বোয়াল ও বালু খেকোদেরকে জব্দ করতে পারেননি । উদাহরণ হিসাবে বলা যায় কুন্দুগ্রাম এলাকার নাগর নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বালু বিক্রির ফলে নদী ভাঙ্গন ও কুশাবাড়ি ব্রীজ হুমকির মুখে পড়ছিল। বিভিন্ন সময় বগুড়ার জেলা প্রশাসক গন উপজেলা নির্ববহী অফিসারদেরকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে চিঠি দিলেও বালু খেকোদের বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারেননি। কিন্তু বর্তমান উপজেল নির্বাহী অফিসারের চ্যালেঞ্জিং অভিযানে বালু উত্তোলন পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রমান করে দিলেন সদিচ্ছা ও সততা থাকলে ভালো কাজ করা সম্ভব। গত ২ মার্চ জেলা
প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ধানী জমি কেটে পুকুর খনন করার অভিযোগে উপজেলার ইন্দুইলে এনামুল হক (৫০) নামের এক ব্যাক্তির ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে পুকুর কাটা বন্ধ করেন। ১৮,২৮ ও ১২ জানুয়রী পৃথক ৩ টি অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক মালিক হৃদয় (৪০) এর ১০ হাজার সাইদুজ্জামান বাপ্পির (৩০) ১০হাজার ও বাদশা মিয়ার (৪৫) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এদের ট্রাক্টর গুলো অবৈধ ভাবে বিভিন্ন সড়কে মাটি পরিবহনকরে জন সাধারন ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছিল। গন উপদ্রব আইনে এদের জরিমানা করা হয়। গত ২৪, ১১, ও ৫ জানুয়রী

অভিযান পরিচালনা করা অবৈধ ভাবে পুকুর খননের অভিযোগে পুশিন্দার হিরো বেগের (৪০) ৬০ হাজার টাকা, সান্তাহার তারপুর রবিউল ইসলামের (৩৮) ৫০ হাজার টাকা ও নিমাইদীঘি গ্রামের আমিনুল ইসলাম (৩৮) ঠিকাদারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া গত ডিসেম্বর মাসের ২২ ও ১২ ডিসেম্বর অবৈধ ভাবে পুকার খননের অভিযোগে সান্তাহার অখিড়া গ্রামের জুয়েল হোসেন (৪৫) এর ৫০ হাজার টাকা ও সান্তাহার বশিপুরের বাদশা ইসলামের (৪০) ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর দিকে ১৯ ও ২৯ ডিসেম্বর বিহিগ্রামের ভেকু মালিক হাজের আলির (৫৫) ৫০ হাজার টাকা ও কুসুম্বীর ভেকু মালিক মতিউরের (৪১) ১লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় কুন্দুগ্রাম ও চাঁপাপুরে নাগর নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে ৭/৮ টি অভিযান পরিচালনা করে পাওয়া বালু নিলামে বিক্রি করে প্রায় ১ লাখ টাকা সরকারী
কোষাগারে জমা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট টুকটুক তালুকদার।

আরও খবর: সারাদেশ