জাতীয়

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে অ্যামনেস্টির নতুন বার্তা

  নীলাকাশ টুডে ১০ আগস্ট ২০২৩ , ৪:১৫:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

বিরোধী দল বা মতের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি সহিংস না হাওয়ার জন্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফের তাগিদ দিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের ভেরিফাইট টুইটে গত ২৯ জুলাই বিরোধী বিএনপির ঢাকার প্রবেশপথগুলোয় অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের বিভিন্ন তৎপরতার ভিডিও যুক্ত করে এই তাগিদ দেয়।

টুইটের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পরও পুলিশ তাকে পেটাচ্ছে।

এর আগেও একই ধরনের তাগিদ দেওয়ার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলে, ‌‘বাংলাদেশ : আমরা আগে বলেছি। আমরা আবার বলছি।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তৃপক্ষকে বলছি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করবেন না। প্রতিবাদ করার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার, এবং কর্তৃপক্ষের উচিত কোনো অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই এটি সহজতর করা। সংগঠনটি এর আগে গত ৪ ও ৮ আগস্ট অনুরূপ বিবৃতি দেয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে অ্যামনেস্টির নতুন বার্তা
ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অত্যাবশ্যক : মোস্তাফা জব্বার
প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা বলেছেন, পুলিশ হামলা করার আগ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণ ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ওইদিন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে অবস্থান নেয়। তাদের এই বিক্ষোভ পুলিশের সঙ্গে সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অন্তর্বর্তীকালীন দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক স্মৃতি সিংহ বলেন, যেসব ভিডিও ও ছবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যাচাই করেছে, সেগুলো বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আলোকপাত করে। আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কঠোরভাবে আইন মেনে চলে এবং নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। মানুষের আরও শারীরিক ক্ষতি এড়াতে এবং সংকট যেন আরও না বাড়ে, সে কারণেই এটা করা দরকার।

তিনি বলেন, পুলিশের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদুনে গ্যাস, রাবার বুলেট ব্যবহার করা উচিত নয়। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, বাংলাদেশের পুলিশ হাসপাতালের ভেতরে কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করছে, যার মধ্য দিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক আইনকে তোয়াক্কা না করার বিষয়টি প্রকাশিত হচ্ছে। এটা উদ্বেগজনক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষকেরা এবং ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাব বাংলাদেশের ওই বিক্ষোভের ৫৬টি ছবি ও ১৮টি ভিডিও পর্যালোচনা করেছেন। পাশাপাশি ঘটনার ৯ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারা

আরও খবর: জাতীয়