অবৈধ ক্লিনিকের অনুমতি দেওয়া নিয়ে সিভিল সার্জনের অফিসে মারামারি

নীলাকাশ টুডেঃ পটুয়াখালীতে অবৈধ ক্লিনিকের অনুমতি দেওয়া নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোনো টাইপিস্ট ও স্যানিট্যারি ইন্সপেক্টরের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন আল মাসুদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোনো টাইপিস্ট খলিলুর রহমানের নিজ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নতুন ও পুরাতন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের নবায়নের জন্য জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন আল মাসুদসহ আরো দুজন তদারকির দায়িত্বে থাকলেও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোনো টাইপিস্ট মোঃ খলিলুর রহমান অবৈধ ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের তালিকা করে অনুমতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্টোনো টাইপিস্টের নিজ কক্ষে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে খলিলুর রহমান জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন আল মাসুদকে স্টিলের স্কেল দিয়ে আঘাত করেন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন আল মাসুদ বলেন, পটুয়াখালীতে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর অনুমতি দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জন মহোদয় একটি কমিটি করে দিয়েছেন। সেই কমিটিতে আমি রয়েছি। স্টোনো টাইপিস্ট মো. খলিলুর রহমান বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর অনুমতির ব্যাপারে নজরদারি করে আসছিলেন। দেখা যায় বেশ কিছু ক্লিনিকের তদারকি করে অনুমতি প্রদান করা সম্ভব নয়, তবুও সেই সকল ক্লিনিকের অনুমতি দেওয়া ও না নেওয়া নিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে তার টেবিলে থাকা স্টিলের স্কেল দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন। আমি সিভিল সার্জন মহোদয়কে জানিয়েছি, তার পরামর্শ নিয়েছি। পরবর্তীতে তার সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে স্টোনো টাইপিস্ট মো. খলিলুর রহমানের মুঠোফোনে বারবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. এসএম কবির হাসান বলেন, ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। তবে শুনেছি মাথায় আঘাতের ঘটনা ঘটছে। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সাক্ষ্য নিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে স্টোনো টাইপিস্ট মো. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ভিকটিমের সঙ্গে কথাও বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।