সারাদেশ

৩৩ বছর পরে বোরকা পরে বোনের কুলখানিতে এসে ধরা খুনের আসামি

  সিলেট প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২৩ , ১২:৫৯:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

 

সিলেটের গোলাপগঞ্জে খুন করার ৩৩ বছর পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন মাসুক মিয়া নামে এক আসামি। ১৬ বছর বয়সে খুনের ঘটনা ঘটলেও ৫৬ বছর বয়সে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত আড়াইটার তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মাসুক সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

 

এলাকাবাসী জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়েছিলেন ১৯৯০ সালে। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৩৩ বছর। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তার। ঘটনার পর ভারতে পালিয়ে গেলেও মাঝে মাঝে বোরকা পরে দেশে আসতেন বলে জানা গেছে।

 

 

সম্প্রতি বোনের মৃত্যুর পর কুলখানিতে অংশ নিতে বাড়ি এসেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে বোরকা পরে চলাচল করছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাসুক মিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের এপ্রিলে করগাঁও গ্রামের আবদুস সালাম নামের এক ব্যক্তি পুরকায়স্থ বাজার থেকে গ্রামে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ এপ্রিল মামলা করেছিলেন নিহত ব্যক্তির এক স্বজন। মামলার আসামি ছিলেন মাসুক। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ১৯৯২ সালে মাসুকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি বোনের কুলখানিতে অংশ নিতে মাসুক ভারত থেকে নিজ এলাকায় আসেন। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে বোরকা পরে এলাকায় গিয়েছিলেন। বোরকা পরেই বাড়িতে প্রবেশ করেন। পলাতক আসামি এলাকায় ফিরেছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে মাসুকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মো রফিকুল ইসলাম শ্রাবণ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তবে এবার তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, বোনের কুলখানিতে অংশ নিতেই তিনি দেশে এসেছিলেন। তিনি ভারতের আসামে থাকেন এবং এর আগে সৌদি আরবেও ছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। আসামে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তবে নিঃসন্তান হওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

আরও খবর: সারাদেশ