সারাদেশ

স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

  প্রতিনিধি ৩ জুন ২০২২ , ৬:০০:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডেঃ রংপুরের পীরগাছার স্ত্রী আয়শা বেগমকে (৩৬) খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মাইনুদ্দীন। স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে খুন করেছেন বলে থানায় জবানবন্দি দিয়েছেন মাইনুদ্দীন।

শুক্রবার (৩ জুন) সকাল ৭টার দিকে পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়া বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশ জানান, সকাল ৭টার দিকে মাইনুদ্দীন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে খুনের কথা স্বীকার করেন। তার এই অপরাধের জন্য তিনি প্রাথমিক জবানবন্দিতে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে রাজি আছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

মাইনুদ্দীনের জবানবন্দির বরাত দিয়ে এএসপি আরও বলেন, দুই বছর ধরে মাইনুদ্দীনের স্ত্রী আয়শা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার মমিনবাজার জগজীবন এলাকার ফারুকের (২৬) সঙ্গে পরকীয়ার কারণে তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ চলছিল। ঘটনার দিন (৩ জুন শুক্রবার) রাত অনুমানিক তিনটার দিকে নিজ শয়নকক্ষে স্ত্রী আয়শা বেগমকে শাবল ও কুড়াল দিয়ে পেটে শরীরের আঘাত করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মাইনুদ্দীন। এরপর মরদেহ ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে সকাল ৭টার দিকে স্ত্রী হত্যার কথা জানিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মাইনুদ্দীন।

মাইনুদ্দীনের (৩৬) গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তার বাবা বশির উদ্দীন। ব্যবসায়িক কারণে দীর্ঘদিন ধরে পীরগাছায় বসবাস করে আসছেন তিনি। সম্প্রতি তারা ঢাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত ২৯ মে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। এরই মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়শা বেগমকে ফোন করেন ফারুক। এ নিয়ে মাইনুদ্দীন ও আয়শার মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুই বছর ধরে ফারুক ও আয়শার মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকার কারণে স্থানীয় লোকজন তাদের হাতেনাতে ধরে একবার থানায় সোপর্দ করেছিল। এ ঘটনার পর মাইনুদ্দীন স্ত্রী আয়শাকে অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে সরে আসার জন্য বুঝিয়ে আসছিলেন। সকালে খুনের বিষয়টি জানতে পারেন তারা। এরপরই স্বেচ্ছায় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন মাইনুদ্দীন।

 

পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেশ চন্দ্র বলেন, এটি পরকীয়ার কারণে খুন নাকি অন্য কারণে তদন্তের পর জানা যাবে। ঘটনাস্থলে সিআইডির টিম আসবে। পরে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

এএসপি আরও জানান, মাইনুদ্দীন আমাদের কাছে আটক আছেন। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে আসামিকে নিয়ে অভিযান চালানো হবে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও খবর: সারাদেশ