শ্যামনগর অফিসঃ ১১ এপ্রিল ২০২৩ , ১০:৪৪:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
‘বরসা’ নামীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লগ্নিকৃত টাকা ফেরত চাইতে যেয়ে অমৃত মন্ডল নামের এক গ্রাহক হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরের গোপালপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। বরসা’র মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত ভানুপ্রিয়া ও তার স্বামী গোবিন্দ মন্ডল টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ঐ হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এদিকে লগ্নিকৃত টাকা ফেরত চাইতে যাওয়ায় গ্রাহকের উপর হামলার ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আরও শতাধিক গ্রাহক ভানুপ্রিয়ার বাড়িতে জড়ো হয়। খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অবরুদ্ধ দম্পতিকে উদ্ধার করে শ্যামনগর থানায় নিয়ে যায়।
অমৃত মন্ডল জানায়, পাঁচ বছরে দ্বিগুন অর্থ ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে তিনি ভানুপ্রিয়ার মাধ্যমে বরসা’য় ১৫ লাখ টাকা সঞ্চয় জমা করেন। সম্প্রতি উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্যামনগরের সবগুলো অফিস বন্ধ হয়ে গেলে ভানুপ্রিয়া পালিয়ে ভারতে চলে যায়। কয়েকদিন আগে ভানুপ্রিয়ার আবারও বাড়িতে ফেরার খবরে মঙ্গলবার সকালে তিনি টাকা ফেরত চাইতে গেলে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পরিতোষ মন্ডলসহ অন্যরা জানায় গত ১২/১৩ বছরে তাদের মতো আরও প্রায় তিন হাজার স্থানীয় গ্রাহক ভানুপ্রিয়ার মাধ্যমে বরসা’য় প্রায় তিনশ’ কোটি টাকা জমা করে। শুরুতে লভ্যাংশ ঠিকমত বিতরণ করলেও গত দু’বছর ধরে নানা টালবাহানার পর সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের সবগুলো অফিস বন্ধ করে দেয়।
ভানুপ্রিয়া কোন কথা বলতে সম্মত না হলেও তার স্বামী গোবিন্দ মন্ডল জানান, বরসা তার সমুদয় সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার পরিবারের লগ্নিকৃত ৬০ লাখ টাকা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নিজের বাড়িঘর ও জমি বিক্রি করে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলেও অমৃত শুরুতে তাদের উপর হামলা করে। নিজেদের রক্ষার্থে তারা পাওনাদারকে সামান্য মারধর করেন বলেও তিনি জানান।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় গোবিন্দ মন্ডল ও তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গ্রাহকের টাকা ফেরত না দিয়ে যাতে বিদেশে পাড়ি জমাতে না পারে সেজন্য তারা নিজেদের পাসপোর্ট জমা রাখতে সম্মত হয়েছে।