সারাদেশ

শ্যামনগরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিকাকে ধর্ষণ!

  প্রতিনিধি ৬ নভেম্বর ২০২২ , ৪:৫৩:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 

শ্যামনগর অফিসঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের এক কিশোরী প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে শোনা যাচ্ছে। রবিবার রাতে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামানসহ তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরীর সাথে প্রায় এক বছর পূর্বে মুন্সীগঞ্জের আসাদুজ্জামানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১২টার দিকে প্রেমিক আসাদুজ্জামান ওই কিশোরীর সাথে দেখা করবে বলে মোবাইল ফোনে বাইরে ডাকে। দুজনে দেখা করে কথা বলার এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী ইসলামাবাদ দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে আসাদুজ্জামান ওই কিশোরীর সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এদিকে শারীরিক সম্পর্ক শেষে বন্ধুদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকে ওৎপেতে থাকা একই এলাকার মেজবাহ (২২) ও শাহীন (২১)কে ফোনে ডাকে।

বিষয়টি সন্দেহ হলে ওই কিশোরী প্রাণ ভয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন আসাদুজ্জামান , তার বন্ধু মেজবাহ ও শাহীন তাকে ধরার জন্য পিছনে ধাওয়া করে। ওই কিশোরী লোক লজ্জার ভয়ে হাক চিৎকার না করে দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে সেই বাড়ির কর্তার সহযোগিতায় ভোরে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে পৌঁছে বিষয়টি পরিবারকে অবগত করা হয়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা নিজ বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি এজাহার দ্বায়ের করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী কিশোরী ঘটনার বর্ণনায় জানান, ‘আসাদুজ্জামান সাথে আমার এক বছরের সম্পর্ক। শনিবার রাতে সে ফোন করে মাদ্রাসার ওখানে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে আসাদুজ্জামান আমার সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়। সে সময় আসাদের দুই বন্ধু এসে বলে দোস্ত আমরাতো দেখে ফেলেছি, তাহলে আমাদেরও দে। তখন আমি ভয় পেয়ে ওদের ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাই! এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ এজাহারের হওয়ার বিষয়টি নীলাকাশ টুডেকে নিশ্চিত করেছেন।

আরও খবর: সারাদেশ