সারাদেশ

শ্যামনগরে পাওনা টাকা চাওয়া কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৪

  প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২২ , ৬:২৮:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন ইট ভাটায় কাজের পাওনা টাকা কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-৪ থানায় অভিযোগ। আহতরা শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

আহতরা হলেন গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের মৃত নুরালী মোড়লের ছেলে মোঃ মোশারাফ হোসেন (৪৮)মাছুম বিল্লাহ স্ত্রী নাজমা খাতুন(৩০)গোলাম মোস্তফার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন(৩৫) মোশারাফ হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ আসমা খাতুন(২৮)।

মারামারি ঘটনায় একই গ্রামের আব্দুর রহিম বক্স মোড়লের ছেলে শাহজালাল বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, আসামি’রা হলেন একই গ্রামের মোঃ বাসার মোড়লের ছেলে মোঃ মহিবুল্লাহ,আবদুল্লাহ মোড়ল,হবি মোড়ল,মৃত মোসলেম মোড়লের ছেলে সালাম মোড়ল,মোঃ সালাম মোড়লের ছেলে মোখলেছুর মোড়ল,সালাম মোড়লের ছেলে মোঃ সাঈদ মোড়লে ও মৃতু মোসলেম মোড়লের ছেলে মোঃ বাসার মোড়ল সহ ৪/৫ জনের বিরুদ্বে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি উল্লেখিত আসামীরা আইন অমান্যকারী, প্রতারনাকারী,কলহপ্রিয়,দারুণ দুর্দ্দান্ত স্বভাবের একজোট ভুক্ত ব্যক্তিবর্গ হইতেছে।আসামীগনের বাড়ী আমার বাড়ীর পাশাপাশি হওয়ায় আমি ইট ভাটার সর্দার অন্যদিকে আসামীগন ইট ভাটার শ্রমিক হওয়ায় আমার সহিত টাকা-পয়সা নিয়ে মনোমালিন্য ছিল।যাহা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের ম্যাধ্যমে মিমাংসা করা হয়।

কিন্তুু আসামীগন আমার ও আমার পরিবারের প্রতি চরম শক্রতা পোষণ করত প্রায় সময় বিভিন্ন প্রকার খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে মারপিট করতে আসে। বুধবার ৩রা আগস্ট বেলা আনুমানিক ১ টার সময় আমি নিজ বাড়িতে হইতে হাসেম এর বাড়িতে দুধ আনতে যাওয়ার জন্য বহির হয়ে মোশাররফ হোসেনের বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার উপরে পৌঁছাইলে আসামি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লোহার রড, জিআই পাইপ বাঁশের লাঠি নিয়ে আমাকে পথরধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করায় তিন নাম্বার আসামির হুকুমে দুই ও সাত নম্বর আসামি লোহার রড দ্বারা খুন করার উদ্দেশ্যে আমাকে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত যখন হয়। আমার ডাক চিৎকারে আমার দুই ভাবি ও আমার স্ত্রী ঘটনাস্থলে এসে আমাকে ঠেকাতে গেলে অন্যান্য আসামিগণ তাদেরকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। আমার ভাবির মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে রড় দ্বারা বাড়ি মারিলে মাথা ফেটে যায় পাঁচটি সেলাই দিতে হয়। আমার ভাবি ও স্ত্রী সহ তাদেরকে পরনের কাপড়-চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে এবং শ্লীতাহানি ঘটায়। আমাদের সকলের ডাক শীতকালে সাক্ষীগন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামিরা ভয়ে ঘটনায়স্থল থেকে পালিয়ে যায়। তখন আসামিগণ বলে এ ব্যাপারে কোথাও কোনো মামলা মকদ্দমা করিলে পথে-ঘাটে তোদেরকে বেঁধে হাত পা ভেঙ্গে ফেলে দেবো। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমাদেরকে দ্রুত ঘটনাস্থান থেকে চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে বর্তমান চিকিৎসাধীন আছি। এমন নেককার জন্য ঘটনায় জড়িত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সহ উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর: সারাদেশ