সারাদেশ

শ্যামনগরে একই পরিবারের ৪ জন নিখোঁজ!

  প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৬:২৭:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

শ্যামনগর অফিস

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামে সুদের জালে জড়িয়ে এক মুন্ডা পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বর্তমানে পরিবারসহ নিখোঁজ আছে ৪ জন। সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালিঞ্চি গ্রামের মৃত পূর্ণ চরন মুন্ডার পুত্র রনজিৎ মুন্ডা (৭০), রনজিৎ মুন্ডার পুত্র সতীষ মুন্ডা (৩৬), সতীষ মুন্ডার স্ত্রী সেফালী মুন্ডা পুতুল (৩০), সতীষ মুন্ডার কন্যা স্মৃতি মুন্ডা (১১), পুত্র অভিজিৎ মুন্ডা (২) সুদের টাকার কারণে ভিটাবাড়ী হারিয়ে বর্তমানে নিখোঁজ আছে।

৯নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ গোপাল মুন্ডা বলেন, সতীষ মুন্ডার পিতা রনজিৎ মুন্ডা ২০২০সালে টেংরাখালী গ্রামের মৃত মান্দার গাজীর পুত্র মো: আনিছুর রহমানের নিকট থেকে ৭৬ হাজার ৫০০টাকা বার্ষিক ৪ হাজার টাকা হারী হিসাবে গ্রহণ করে। উক্ত টাকা প্রদান করার সময় আনিছুর সু-কৌশলে রনজিৎ মুন্ডার নিকট থেকে ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে টিপ সহি নেওয়াসহ বন্দোবস্ত জমির দলিল সুকৌশলে গ্রহণ করে। সতীষ মুন্ডা প্রতি বছর আনিছুরকে ৪ হাজার টাকা প্রদান করে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে আনিছুর উক্ত স্ট্যাম্পের বলে রনজিৎ মুন্ডা তাকে ১১ কাঠা জমি লিখে দিয়েছে বলে তার বসত ভিটা জবর দখলসহ পুকুর খনন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আজগর বুলু, প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার তরফদারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে শালিসসহ বসত ভিটার মাপ জরিপ করেন।

মাপ জরিপ করে রনজিতের বসত ঘরের বারান্দাসহ গোপাল মুন্ডার বাথরুম পর্যন্ত খুটি মারা হয়। মাপ জরিপের পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে সতীষ মুন্ডাসহ তার পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ হয়। বর্তমানে তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানান সতীষ মুন্ডার প্রতিবেশিরা। সতীষ মুন্ডার পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ হওয়ার পর হতে স্থানীয় সুদ ব্যবসায়ী মৃত ছমির উদ্দীনের পুত্র আবুল কালাম, আরশাদ শেখের পুত্র আকবার শেখ, মৃত ফকির মোল্যার পুত্র নূরালী মোল্যা, মোমিন কাগুচীর পুত্র মহরম কাগুচী, নূরালী গাজীর পুত্র আব্দুল আজিজ সুদের টাকার জন্য তার বাড়িতে পায়তারা করছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আলী আজগর বুলু বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আমি সতীষ মুন্ডা ও আনিছুরের শালিসে গিয়ে ছিলাম। মাপ জড়িপের পরে সতীষ মুন্ডা সেটি মেনে না নেওয়ায় পরবর্তীতে আবারও মাপজরিপসহ শালিশের দিন ধার্য্য করা হয়। রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা চেষ্টা করছি তাদের খুজে পাওয়ার জন্য। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর: সারাদেশ