শ্যামনগরের এক ব্যক্তির ৬০ লাখ টাকা প্রতারণা করে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত আসামী!

শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ চেক প্রতারনা মামলায় বিজ্ঞ আদালত হতে সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার না করায়, উল্টো বাদীকে হুমকি অব্যহত রেখেছে প্রতারক প্রকাশ চন্দ্র নামে একজন। এমনই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। প্রতারক প্রকাশের বাড়ি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ক্ষেত্রপাড়া গ্রামে। মামলার বাদী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধূমঘাট গ্রামের নির্মল কুমার বাউলিয়া অভিযোগে জানায়, ব্যবসায়িক লেনদের এক পর্যায়ে প্রতারক প্রকাশ চন্দ্র করের নিকট ৬০ লাখ টাকা পাওনা হয়। টাকা চাইলে সে তাল বাহনা শুরু করে। একপর্যায়ে প্রকাশ চন্দ্র কর গত ০৭/০১/২০১৯ তারিখে রূপালী ব্যাংক লিঃ কলারোয়া শাখার হিসাব নং- ৮৮১৫ এর এসবিএলএস ৩৩২১৮২৩ নং একটি চেকের পাতায় স্বাক্ষর পূর্বক ৬০ লাখ টাকা লিখিয়া বাদী নির্মল কুমার বাউলিয়াকে প্রদান করে। কিন্তু উক্ত হিসাব নাম্বারে সমুদয় টাকা না থাকায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে।

পরবর্তী পর্যায়ে প্রকাশ চন্দ্র করের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতে গত ০৭/০৮/২০১৯ তারিখে ১৩৮৭/১৯ নং মামলা দায়ের করে বাদী নির্মল কুমার বাউলিয়া। মামলাটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে চেক জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ যুগ্ন দায়রা জজ জনাব মোঃ ফারুক ইকবাল গত ০৬/০৯/২০২১ তারিখে প্রতারক প্রকাশ চন্দ্র করকে বাংলাদেশ দন্ডবিধি অনুযায়ী এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড সহ তর্কিত চেকে বর্ণিত টাকার সমপরিমান তথা ৬০ লাখ টাকা জরিমানা দন্ড প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতে আসামী পলাতক থাকায় পুলিশ কর্তৃক ধৃত হওয়ার পর বা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পনের পর হতে তার সাজার মেয়াদ গননা শুরু হবে উল্লেখ করেন।

আসামীকে জরিমানার টাকা অবিলম্বে অভিযোগকারী তথা বাদীর অনুকুলে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অদ্যবধি প্রতারক প্রকাশ চন্দ্র করকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় বাদীকে উল্টো হুমকি অব্যহত রেখেছে। বিষয়টি বাদী নির্মল কুমার বাউলিয়া আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার সহ টাকা উদ্ধারের প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।