সারাদেশ

মারামারি করতে নিষেধ করায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ ১৬ মার্চ ২০২৩ , ৭:৪০:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মারামারি করতে নিষেধ করায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মো. কাজল (৪০) নামের এক ইউপি সদস্যকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামের সর্দারপাড়ায় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন মাবুদ নামের এক ব্যক্তি।

পরে স্থানীয়রা মো. কাজলকে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান।

নিহত কাজল মেম্বার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি দৌলতখালী গ্রামের মৃত সুন্নত মন্ডলের ছেলে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের বাবা কাজল। অভিযুক্ত মাবুদ (৩৮) একই গ্রামের নুকা সর্দারের ছেলে। তিনি গাছের চারার ব্যবসা করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতখালী গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে একটা ঝামেলা চলছিল। দুই পক্ষকে মারামারি করতে নিষেধ করেছিলেন ইউপি সদস্য কাজল। এ ঘটনার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বুধবার সন্ধ্যায় কাজলকে কুপিয়ে হত্যা করে মাবুদ ও তার লোকজন।

নিহতের ভাগ্নে শুকুর বলেন, আমার মামাকে মাবুদ ও তার লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় কুপিয়ে আহত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদী রুপা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি চাই।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক বলেন, আমি আর কাজল চাচা একসঙ্গে সর্দার পাড়ায় ছিলাম। এ সময় মাবুদ হঠাৎ করে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে কাজল চাচাকে হত্যা করেছে।

দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মহিউল ইসলাম মহি বলেন, দুপক্ষের লোকজনকে মারামারি করতে নিষেধ করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইউপি সদস্য কাজলকে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হোসেন ইমামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য কাজলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাবুদের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনিও ওই মামলার আসামি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

আরও খবর: সারাদেশ