সারাদেশ

বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু, গায়ে আঘাতের চিহ্ন

  প্রতিনিধি ৪ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:৫৪:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডেঃ মুন্সীগঞ্জে বন্ধুর বাড়িতে জেসিকা (১৬) নামে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

জেসিকা জেলা শহরের সরকারি এভিজেএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও সদর উপজেলার কেওয়ার এলাকার সেলিমের মেয়ে। সে মায়ের সঙ্গে শহরের কোটগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত।

নিহতের পরিবারের দাবি, বিজয় নামে এক প্রতিবেশী বন্ধুর বাড়িতে গেলে জেসিকাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় বিজয়। জেসিকার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

জেসিকার ভাই জিদান জানান, মঙ্গলবার বিকালে বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয় জেসিকা। সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়িতে ফেরেনি। পরে ৬টার দিকে হাসপাতাল থেকে প্রতিবেশী বিজয় ফোন দিয়ে বলে— জেসিকার অবস্থা খারাপ, সে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে। আমরা হাসপাতালে যাওয়ার পর বিজয় চলে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে জেসিকার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড। ওরা আমাদের বলছে— ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে, আর হাসপাতালে জানিয়েছে পড়ে গেছে। এ ছাড়া জেসিকার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

জেসিকার মা বলেন, আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে বিজয়। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

মুন্সীগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেসিকা নামে এক কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ২০ থেকে ২১ বছর বয়সি একটি ছেলে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছিল। পরে রাত ৮টার দিকে ওই কিশোরীর মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়। তার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, জেসিকা পাঁচতলা ছাদ থেকে পড়ে গেছে বলে জানান হাসপাতালে আনা ছেলেটি। তবে এমন ঘটনা হলে রোগীর মাথায় রক্তক্ষরণের চিহ্ন থাকত, যা এ রোগীর ছিল না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্ডার খায়রুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল থেকে মরদেহ পেয়েছি, তদন্ত চলছে।

আরও খবর: সারাদেশ