প্রতিনিধি ২৭ আগস্ট ২০২২ , ১২:৩৮:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নীলাকাশ টুডেঃ বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়- সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এ কথাটি চিরন্তন বাণীতে পরিণত হলেও ঠিক তার উল্টোও ঘটে মাঝেমধ্যে।
বড় প্রেম কখনও কখনও কাছেও টেনে নেয়। এমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন পাকিস্তানের এক যুগল। পাত্রীর বয়স ৭০। পাত্র ৩৭। তাদের পুরনো প্রেমের পরিণতি নিয়েই চর্চা তুঙ্গে।
পাত্রের নাম ইফতেখার। কৈশোরে থাকতেই তিনি প্রেমে পড়েছিলেন ৩৫ বছরের কিশোয়ারের। শুধু প্রেমে পড়াই নয়, অকপটে সেই কথা বাড়িতে জানিয়ে বিয়ের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।
কিন্তু ইফতেখারের এমন কথা শুনে পরিবারের মাথা গরম। কিছুতেই তারা এই বিয়েতে রাজি হননি। এতে মন ভেঙ্গে যায় ইফতেখারের।
তিনি পরিবারকে জানিয়ে দেন, বিয়ে করলে কিশোয়ারকেই করবেন, না হলে আর জীবনে বিয়েই করবেন না। সমাজকে উপেক্ষা করে কিশোয়ারও ইফতেখারের প্রেমকে গ্রহণ করেন।
বাড়ির লোকজন না চাইলেও ইফতেখার তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে গোপনে দেখা করতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়।
পরে ইফতেখার পরিবারের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেন। ছয় সন্তানের বাবাও হন তিনি। কিন্তু পুরনো প্রেমকে কিছুতেই ভুলতে পারেননি ইফতেখার।
পরিবারের কারণে কিশোয়ারকে বিয়ে করতে না পারলেও বিয়ের পরও দেখা করতেন ইফতেখার। শুধু তাই নয় মাঝেমধ্যে সময়ই কাটাতেন তারা।
কিন্তু দিনে দিনে অনেকটা সময় গড়িয়ে যায়। কিশোয়ারের শরীরে তখন বয়সের ছাপ। তারপরও তিনি নিজের পণে অটল ছিলেন। বিয়ে করলে ইফতেখারকে, না হলে আর কেউ নয়।
কিন্তু ইফতেখারের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কিশোয়ার অবিবাহিতই থেকে যান। বিয়ের পরেও পুরনো প্রেমের কাছে ছুটে যাওয়ার বিষয়টি ইফতেখারের স্ত্রী জানতে পারেন, মেনেও নেন।
এর পরই ইফতেখারের স্ত্রী তাঁর স্বামীর ইচ্ছাপূরণের সিদ্ধান্ত নেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বছর সত্তরের কিশোয়ারের সঙ্গে বিয়ে দেন ইফতেখারের।
বিয়েতে ইফতেখার ও কিশোয়ার দু’জনেই খুশি। তাঁদের পুরনো প্রেম যে এভাবে পরিণতি পাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন নববধূ কিশোয়ার।
সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি মধুচন্দ্রিমায় যেতে চান? উত্তরে কিশোয়ার বলেছেন অবশ্যই। জানালেন স্বামীকে নিয়ে করাচি এবং মারিতে যাবেন তিনি।
সাংবাদিকরা ইফতেখারকে প্রশ্ন করেন, কোন স্ত্রীর সঙ্গে তিনি থাকতে চান। জবাব তৈরিই ছিলো, জানালেন, তাঁর পুরনো প্রেম ও নতুন স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতে চান