সারাদেশ

নড়াইলে পুলিশের অভিযানে চোরাই মোটর সাইকেলসহ চোরচক্র গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ৫ জুলাই ২০২২ , ১:২৯:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মামুন হাসান, বিভাগীয় প্রধান খুলনাঃ সোমবার ৪ জুলাই একটি চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচার তথ্য পেয়ে অভিযানে নামে নড়াইলের লোহাগড়া থানা পুলিশ। কিন্তু অভিযানে একে একে উদ্ধার করা হয় ৮ টি মোটরসাইকেল। এসব চুরির ঘটনায় আটক করা হয়েছে মোটরসাইকেল আন্ত চোর চক্রের ৪ সদস্যকে। বিষয়টি জানিয়েছেন নড়াইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম।

সোমবার (৪জুলাই) রাত সাড়ে ৮ থেকে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ভোর পর্যন্ত লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়েন আড়পাড়া গ্রাম ও ফরিদপুরের আলাফাডাঙ্গা থানার গোপালপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের কবির সরদারের ছেলে ফসিয়ার সরদার, ফরিদপুর জেলার আলাফাডাঙ্গা উপজেলার টিঠা গ্রামের মৃত রাজ্জাক শেখের ছেলে কামাল শেখ ও একই উপজেলার বাজরা গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলামের জিসান ওই গ্রামের মফিজুল হকের ছেলে ইমদাদুল হক মিলন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মিঠাপুর লাহুড়িয়া গামী ঝামারঘোপ বাজারের মুরাদের চায়ের দোকানের সামনে চোরাই মোটর সাইকেল কেনাবেচা হবে। লোহাগড়া থানার বিশেষ দল অভিযান পরিচালনাকালে কামাল শেখ ও মঞ্জুুরুল ইসলাম জিসানকে ২ টি বাজাজ ডিসকোভার মোটরসাইকেল সহ গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে ফসিয়ার সরদারের নিকট হতে ১টি বাজাজ ডিসকোভার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়, ফসিয়ারের দেওয়া তথ্য মতে আরো ২ টি বাজাজ ডিসকোভার লোহাগড়া থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের তথ্য মতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ইমদাদুল হক মিলনের নিকট হতে ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করে।

নড়াইল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীরা আন্ত জেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলা হতে মোটরসাইকেল চুরি করে জেলার বিভিন্ন স্থান সহ পার্শ্ববর্তী জেলায় ক্রয় বিক্রয় করে। গতকাল রাতে অভিযান পরিচালনা করে লোহাগড়া থানা পুলিশ চার জন আসামী সহ ৮টি মোটরসাইকেল জব্দ করে। জব্দকৃত ৮টি মোটর সাইকেলের কোনটির মালিক এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রজু হয়েছে। জব্দকৃত মোটরসাইকেল গুলো আদালতে প্রেরন করা হবে, আদালতের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকগন তাদের মোটরসাইকেল গ্রহন করতে পারবেন।

আরও খবর: সারাদেশ