বিনোদন

নিজ ঘরে সিলেটি নায়িকার গলাকাটা লাশ, পাশে রক্তমাখা কাঁচি

  নীলাকাশ টুডেঃ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:২৬:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সিলেট নগরীতে সোনিয়া আক্তার (২১) নামে এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, এটি একটি লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড। মেয়েটির গলায় ধারালো কিছুর গভীর ক্ষত রয়েছে। লাশের পাশ থেকে রক্ত মাখা কাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে নগরীর খুলিয়াটুলার শুভেচ্ছা ২৪৯ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

 

সোনিয়া সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কলাছড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে। তিনি দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। তিনি মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। পুলিশ জানান, সিলেটী নাটকে নায়িকার অভিনয়ও করেছেন সোনিয়া।

 

জানা যায়, সোনিয়ার সৎ পিতা সেলিম মিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায় সোনিয়ার মামাতো ভাই সজিব আহমদ শনিবার রাতে সোনিয়াদের বাসায় আসেন। রোববার সকাল ৭টার দিকে সজিবসহ সোনিয়ার পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে বসে নাশতা করেন। পরে ঘরে সোনিয়া ও তার ভাবি ফারিয়া বেগমকে রেখে পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে চলে যান। এ সময় সোনিয়ার মামাতো ভাই সজিব ওই বাসায় ছিলেন।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালে থাকা সোনিয়ার মা অমিতা বেগমকে সজিব ফোন করে জানান, তিনি বাড়ি চলে যাচ্ছেন।

এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে সোনিয়ার সাড়া শব্দ না পেয়ে তার ভাবি সোনিয়ার কক্ষে গিয়ে বিছানার উপরে গলাকাটা অবস্থায় দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় হাসপাতালে থাকা পরিবারের সদস্যদের খবর দেন সোনিয়ার ভাবি। তারা বাসায় ফিরে পুলিশে খবর দিলে দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশ থেকে কাপড় কাটার একটি রক্তমাখা কাঁচি জব্দ করে পুলিশ।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এটি একটি লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড। নিহতের গলায় গভীরভাবে কাটা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আমরা সন্দেহ করছি। তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করছি না। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি এবং পিবিআইও রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, পুলিশের সন্দেহের তির সোনিয়ার মামাতো ভাই সজিবের দিকে। পরিবারের সদস্যরাও তাকে সন্দেহ করছেন। পুলিশ তাকে খুঁজছে। সজিবের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নবীনগর গ্রামে।

নিহত সোনিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে খালার বাসা থেকে মামাতো ভাই সজিবের সঙ্গে বাসায় আসে সোনিয়া। রাতে সোনিয়াদের বাসায় থেকে যায় সজিব। রোববার সকালে সোনিয়ার মা অমিতা বেগম মেয়েকে ভালো দেখেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সজিবকে সন্দেহ করছেন সোনিয়ার পরিবারের সদস্যরা।

মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, ওই তরুণী টিকটকার ছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই মিলে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

আরও খবর: বিনোদন