সারাদেশ

চোরাই ১৬ মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৮

  নীলাকাশ টুডে ২৫ আগস্ট ২০২৩ , ৯:২৮:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নাটোরে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (ATU) এবং নাটোর জেলা পুলিশের যৌথ দল। অভিযানে ১৬টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নাটোর পুলিশ লাইনস এর ড্রিল শেডে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, কিছু দিন আগে নাটোরের সিংড়ায় সিংড়াপাড়া গ্রামের ওসমান গণির মোটরসাইকেল চুরি হয়। তিনি এ বিষয়ে সিংড়া থানায় মামলা করেন।

মামলার পর সিংড়া থানা পুলিশের একটি দল চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে।

 

সে সঙ্গে সংঘবদ্ধ অপরাধ নিয়ে কাজ করা পুলিশের বিশেষ ইউনিট এন্টি টেরোরিজম ইউনিটকে (ATU) সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়। পরে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার বাতিয়া গ্রাম থেকে মামলার চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

ওই অভিযানে ‘আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য’ বগুড়া জেলার গাবতলী থানার দুলাল মিয়াকে (৩৯) গ্রেপ্তার করা হয়।

দুলাল মিয়ার দেওয়া তথ্য মতে, টাঙ্গাইলের পাখাইলকান্দি গ্রামের মো. আইয়ুব আলী (৪৫), পাবনা জেলার আমিনপুর থানার সৈয়দপুর গ্রামের মো. শামীম খান (২০), একই থানার কালিনগর গ্রামের নাছির উদ্দিন (২৬), রাজশাহী জেলারএয়ারপোর্ট এলাকার আল-আমিন ইসলাম (২৭), পাবনা জেলার বেড়া থানার পূর্ব শ্রীকন্ঠদিয়া গ্রামের খবির শেখ (২২), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার বাতিয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৫৩), পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার চুলকাটা গ্রামের জিয়াম হোসেন জিমকে (২০) পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরও ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধার করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকানা যাচাই এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

আরও খবর: সারাদেশ