সারাদেশ

চিংড়িতে অপদ্রব্য মিশ্রনকারি অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান; ০৬ জনকে অর্থদন্ড

  প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৭:৫৭:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

খুলনাঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। খুলনা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষনীয় করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ র‌্যাব-৬, সদর কোম্পানি, খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, খুলনা জেলার রূপসা থানা এলাকায় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর অপদ্রব্য (জেলি) পুশ করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ১৯.০০ ঘটিকা হতে ২১.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, রূপসা, খুলনার সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য (জেলী) পুশ করার দায়ে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইনে ব্যবসায়ী ১। মোঃ আল মামুন, ২। মোঃ জসিম মল্লিক, ৩। মোঃ নুরু, ৪। মোঃ ইমন সরদার, ৫। মোঃ ইমরান মীর, ৬। মোঃ ফারদিন হাসানদেরকে মোট ৫৩,০০০/-(তেপান্ন হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উক্ত প্রতিষ্ঠান হতে জেলী পুশকৃত ৫০ কেজি চিংড়ি, যার আনুমানিক মূল্য ৫০,০০০/-টাকা, অপদ্রব্য জেলী ১০ লিটার এবং অপদ্রব্য জেলী পুশ কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। জব্দ কৃত চিংড়ি মাছ, অপদ্রব্য (জেলি) ও অপদ্রব্য পুশ করার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।

জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিরা তাৎক্ষনিক প্রদান করায় সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

আরও খবর: সারাদেশ