সারাদেশ

খানপুরে এক নারীকে পাচারের অভিযোগে মামলা

  প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৬:৫২:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

সাতক্ষীরা অফিসঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুরে এক নারীকে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগীর মা ফরিদা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা মানব পাচার প্রতিরোধ ও অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা করেছেন। পিটিশন মামলা নং ৪২৫/২২।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরের খানপুর গ্রামের ফরিদা খাতুনের মেয়ে রেবেকা (২৬) এর সাথে যশোর জেলার শার্শা থানার গিলিকুল মোড়(উলুশী বাজার) গ্রামের বজলুর রহমানের পুত্র সোহেল রানা(৩৫) সাথে ৭/৮বছর আগে বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ৬বছরের লামিয়া নামে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তাদের সাংসারিক জীবনে যৌতুক নামক একটি ব্যাধি কাল হয়ে দাঁড়ালো।

সোহেল রানা রেবেকাকে ৫০হাজার টাকা যৌতুকের দাবীতে মারপিট করে বাড়ি হতে বের করে দেয়। নিরুপায় হয়ে অভিযোগকারীর কন্যা রেবেকা সাতক্ষীরা জেলার খানপুর গ্রামে চলে আসে। বাড়ি আসার পর রেবেকা তার স্বামীকে মোবাইলের মাধ্যমে যৌতুক আইনে মামলা করার কথা বললে তার স্বামী সোহেল রানা মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। এক পর্য্যায়ে তাদের মিমাংষা হয়ে যায়।

তারপর গত ১৫-৭-২২ তারিখে বেলা ৩টার দিকে সোহেল রানা ভুক্তভোগী রেবেকাকে নিয়ে ঢাকায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে তাদের ৬বছরের কন্যা লামিয়াকে তার নানীর বাড়িতে রেখে যায়। বেশ কিছু দিন পর ভুক্তভোগীর মা ফরিদা খাতুন তার মেয়ের কাছে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ দেখায়। তারপর জামাই সোহেল রানার কাছে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গার্মেন্টেসে কাজ নিয়েছি।

পরবর্তীতে জামাই ও মেয়ের কাছে ফরিদা খাতুন ফোন দিলে দুইজনের ফোন বন্ধ দেখায়। এমতবস্থায় গত ৩০-০৮-২২ তারিখে ফরিদা খাতুন দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়ায় আত্মীয়ের বাড়ি হতে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সকাল ১০টার দিকে বাস হতে আলিপুর চেকপোস্টে নামে। তারপর সেখানে তার জামাই সোহেল রানাকে দেখতে পায়। ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করার পর এক পর্যায়ে ফরিদা জামাইয়ের কাছে তার মেয়ের কথা জানতে চায়।

তখন জামাই সোহেল রানা বলে কে তোমার কন্যা? তোমার কন্যাকে আমি তো চিনি না বলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। তখন জামাই তার শাশুড়ি ফরিদা খাতুন কে গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে ফরিদা খাতুনের চিৎকার শুরু করলে সেখানে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। সেখান থেকে তার জামাই সোহেল রানা পালিয়ে যায়।

তবে ফরিদা খাতুন বলেন, লোকমুখে খবর নিয়ে জানা যায় তার জামাই সোহেল রানা আলিপুর চেকপোস্ট এলাকায় সাত্তার মাস্টারে বাড়িতে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকে। তখন সাতক্ষীরা মানব পাচার প্রতিরোধ ও অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বতর্মানে মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডিতে আছে। এবিষয়ে ফরিদা খাতুন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরও খবর: সারাদেশ