কালীগঞ্জে সিনেমা স্টাইলে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট আহত ৩

নীলাকাশ টুডেঃ বিজ্ঞ আদালতের আদেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী, পেটুয়া বাহিনী নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত, পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বিভিন্ন প্রকার গাছ কেটে জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।

সন্ত্রাসীদের মারপিটে নারী-পুরুষ শিশুসহ ৩ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামে গত ৮ জুলাই সকাল ৬টার সময় এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হল হোগলা গ্রামের ওয়াজেদ আলী গাজীর পুত্র গোলাম রব্বানী(৪৫) তার স্ত্রী রাফিজা খাতুন (৩৮) এবং পুত্ররানাউল ইসলাম(১৪)।,

উক্ত ঘটনায় ঐদিন অর্থাৎ ৮ জুলাই ভুক্তভোগী গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে থানায় এজাহার দিলেও ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রতিপক্ষের নিকট থেকে পাল্টা অভিযোগ নিয়ে থানায় মীমাংসার নামে তালবাহানা করে চলেছে বলে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের জানান।

থানার অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্র এবং হোগলা গ্রামের রহিম গাজী, রহমত গাজী, বাদশা গাজী, রেহেনা বেগম সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, হোগলা মৌজার ৭ নং খতিয়ানের ৪৯ দাগের সাড়ে ১১ শতক জমি নিয়ে গোলাম রব্বানীর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত ঝন্টু টপালি এর পুত্র আমজাদ ট পালি গংয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে গোলাম রব্বানীর ভোগ দখলীয় জমিতে আমজাদ বাদী হয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায়১০১৭ নং একটি পিটিশন মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত বিরোধীয় জমিতে নিজ, নিজ দখলীয় অবস্থানে অবস্থান করার জন্য আদেশ প্রদান করেন।

আদালতের আদেশ অমান্য করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ৮ জুলাই মৃত ঝন্টু টাপালির পুত্র আমজাদ, ওয়াজেদ শাকের, মাছিম এর নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী পলাশ, আলমগীর, শহিদুল, শফিকুল, রাজাউদ্দিন, শাহিনুর, শাহ আলম, ইসরাফিল শাহাজান আমজাদ সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে হঠাৎ করে জমিতে যেয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ কেটে ফেলে। ওই সময় বাধা দিতে গেলে গোলাম রাব্বানী তার স্ত্রীর রাহিজা খাতুন, পুত্র রানাউল ইসলাম এবং তার কন্যাকে রশি দিয়ে বেঁধে মুখে গামছা পেছিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে জমি দখল করে নেয়। এরপরে তারা তার বাড়িতে যেয়ে হামলা চালিয়ে বাড়ির মালামাল স্বর্ণালংকার সহ বিভিন্ন কাপড় সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানার উপকারীদর্শক মিলন ঘটনাস্থল তদন্ত শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান মারামারির ঘটনায় দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তারা উভয় পক্ষ মীমাংসার জন্য সময় চেয়েছে। মীমাংসা না হলে দুই পক্ষের মামলা নেওয়া হবে।