সারাদেশ

কলারোয়ায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে খতিবকে ভৎসনার অভিযোগ: উস্কানীতে তৎপর বিশেষ মহল!

  প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২২ , ৫:১৭:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সাতক্ষীরা অফিসঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাসকে সালাম না দেওয়ায় উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিবের সাথে অশোভন আচারণের অভিযোগটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে উস্কানিতে রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে খতিব মতিউর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এদিকে ওই খতিবের সাথে ইউএনও’র কথপোকথনের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দুই একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদও প্রকাশ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগ, গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ ও ভিডিও চিত্র থেকে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব মতিউর রহমান গত ১২ রবিউল আওয়াল ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার লক্ষ্যে পরামর্শ নিতে গত ৮অক্টোবর শনিবার বেলা ১১টার দিকে মসজিদের সভাপতি উপজেলা নিবার্হী অফিসার রুলি বিশ্বাসের নিকট মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কথা বলার সময় ‘সালাম’ দেওয়া না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউএনও ঐ খতিবকে ভৎসনা করেন ও কটু কথাবার্তা বলেন।

লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ অক্টোবর ইসলামী ফাউন্ডেশনের আহবানে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় উপস্থিত হন ওই খতিব। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস ওই ৮ অক্টোবর তারিখে মোবাইলে ‘সালাম’ না দেওয়ায় খতিবের উপর আবারও ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্ব্যবহার করেন।
এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাসের সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে বিষয়টি নিয়ে একটি বিশেষ মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানীমূলক পোস্টও দিচ্ছেন ওই মহলের কেউ কেউ। সাতক্ষীরার দু-একটি অনলাইন ও ফেসবুক পেজের খবরে আপত্তিকর ও উস্কানী মূলক মন্তব্যও করছেন অনেকে। ওইসব পোস্টে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট এবং অফিসিয়াল শৃংখলা ভঙ্গের মতো আপত্তিকর কথা লেখা ও বলা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে উস্কানীর সুযোগ না পায় সেব্যাপারে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই।

কলারোয়া সাংবাদিকদের অনেকগুলো সংগঠনের একটি পৌর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: জুলফিকার আলী বলেন, কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে অস্থিরতা অনেকদিন ধরেই চলছে। ইউএনও, এসি-ল্যান্ডসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষে এক গ্রুপ থাকলে আরেক গ্রুপ থাকে বিপক্ষে। সেধরণের একটি গ্রুপই সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলারোয়ায় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো: আনিসুর রহিম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের নানা অভিযোগ উঠছে। তবে কলারোয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি উঠেছে সেটিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মহল বিশেষ তৎপর হয়ে উঠেছে। প্রশাসন এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অপতৎপরতা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন মৃধা বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে ও পরে পুলিশ সতর্ক ছিল।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে মসজিদের খতিব একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র পত্রদূত

আরও খবর: সারাদেশ