সারাদেশ

ঋণের বোঝা সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা

  প্রতিনিধি ২৩ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:১২:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় জামির হোসেন নামের ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালক কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষ পানের পর রাত ৯টায় তিনি মারা যান। সে উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানি এলাকার বাসিন্দা।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

থানা পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় লোকজন সূত্র জানায়, জামির হোসেন (৩৪) একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কে টাকা ধার নিয়েছিলেন। স্থানীয় লোকজন ও এনজিও কর্মীরা ওই ঋণের টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে জামির হোসেন দিশাহারা হয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে রোববার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় সবার অজান্তে জামির তার নিজ বাড়িতে জমিতে দেওয়ার কীটনাশক (বিষ) পান করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কুমেকে নেওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী বুড়িচং উপজেলা সদর বাজারে পৌঁছার পর জামির হোসেন মারা যান। সেখান থেকে স্বজনরা জামিরের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানাপুলিশ ওই রাতেই নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের বড় ভাই মো. জাকির হোসেন জানান, ‘দুটি এনজিও থেকে জামির হোসেনের ঋণ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন লোকজন তার কাছে বিভিন্ন অঙ্কে ধারের টাকা পেত। তার ঋণের পরিমাণ আনুমানিক চার লাখ টাকার মতো হবে। এসব ঋণের চাপ সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আমার ভাই জামির হোসেন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।’

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, ‘অটোরিকশাচালক জামির হোসেন বিষ পানে রাত ৯টায় মারা যায়। খবার পেয়ে থানা পুলিশ ওই রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জামিরের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে।’

আরও খবর: সারাদেশ