সারাদেশ

উপজেলা চেয়ারম্যানকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল

  পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ ১০ এপ্রিল ২০২৩ , ৮:০৮:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর মুহুর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বাউফল থানার তৎকালীন ওসি আল মামুনের সামনেই কয়েকজন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেবের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আবদুল মোতালেব সড়কের ওপর শুয়ে পড়েছেন। এরপরও সন্ত্রাসীরা তাকে কোপাচ্ছেন ও পিটাচ্ছেন। আর মোতালেব চিৎকার করছেন।

আবদুল মোতালেবের ওপর হামলার ঘটনার ১৪ দিন পর ২ এপ্রিল রাতে মামলা হয়েছে। বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা মামলার ১ নম্বর আসামি। মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করে। এতে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মোতালেব জনতা ভবনে যাওয়ার চেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে মোতালেব অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের চোখ এড়িয়ে মোতালেব হাওলাদার দলীয় কার্যালয়ে যেতে চাইলে রোষানলে পড়েন। তখন উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে আবদুল মোতালেবের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা আনন্দ র্যালি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের (জনতা ভবন) দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের গেটের পূর্ব পাশে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আবদুল মোতালেবের ডান হাতের তৃতীয় আঙুল কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে থাকে। তার বুকের ডান পাশে ও ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশে জখম হয়। ডান পা ভেঙে যায় ও মাথায় আঘাত লাগে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে সম্প্রতি যোগদান করা বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, আসামিদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে দুজনেই পটুয়াখালী আদালত থেকে জামিনে বেরিয়েছে। যতটুকু জেনেছি বাকি আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছে।

আরও খবর: সারাদেশ