বিনোদন

আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন ডিপজল

  প্রতিনিধি ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৮:৩১:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 

বিনোদন প্রতিবেদক

চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। দেশে এসেই আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা নিজেই।

বরাবরই বাংলাদেশে বিদেশি সিনেমা মুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ডিপজল। এবারও হেঁটেছেন একই পথে। সম্প্রতি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বলিউডের কিছু সিনেমা। এ কারণেই আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেতা।

 

ডিপজল বলেন, ‘আমাদের সিনেমাকে ধ্বংস করার জন্যই একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। আগে আমরা দেখেছি হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেওয়ায় নেপালের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। বলা যায়, হিন্দি সিনেমার কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে তাদের নিজেদের চলচ্চিত্র। আমাদের দেশেও যদি একের পর এক হিন্দি সিনেমা চালানো হয়, তাহলে দেশের চলচ্চিত্রও একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের নিজস্ব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলে কিছু থাকবে না’।

এর আগে বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’ সিনেমা দুটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে ভালো ব্যবসা করেছে। এবার দেশে তার অভিনীত ‘ডানকি’ সিনেমা মুক্তির প্রস্তুত চলছে। এ নিয়ে শাহরুখভক্তদের মধ্যে আনন্দের ঝড় উঠেছে। কিন্তু দেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ ডিপজল।

অভিনেতা বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই দেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেওয়ার বিপক্ষে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। কেননা বিদেশি সিনেমা আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করবে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যাবে না। এর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আর মাত্র কয়েকদিন পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচনের পর বিদেশি সিনেমার বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্দোলনের ডাক দেব। আমি মনে করি, এর একটি সুরাহা হওয়া খুব জরুরি’।

এর আগে হিন্দি সিনেমা নিয়ে মন্তব্যের কারণে ভারতীয় গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন ডিপজল। শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তির বিষয়ে আলোচনার মধ্যে ডিপজল দাবি করেছিলেন, হিন্দি সিনেমায় অশালীন দৃশ্য ও গান থাকে। বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে হিন্দি সিনেমা যায় না।

ডিপজলের এমন বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়। ফেসবুকে কেউ কেউ লিখছিলেন, ডিপজল নিজেই বেশ কয়েকটি ‘অশ্লীল’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তখন ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে এসেছিলেন ডিপজল। সেখানে এই অভিনেতার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছিল।

অন্যদিকে শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি সিনেমা আমদানির প্রশ্নে একমত হয়েছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রযোজক, প্রেক্ষাগৃহ মালিক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা। উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানিসহ চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করে ১৯ সংগঠনের মোর্চা সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছিল, সিনেমা আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তবে হিন্দি সিনেমা আমদানিতে শিল্পী সমিতি লিখিতভাবে সম্মতি জানালেও ডিপজল বলেছিলেন ভিন্ন কথা। সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ঢাকার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, এর মধ্যে হিন্দি সিনেমা এলে বাংলা সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়বে।

 

আরও খবর: বিনোদন