কুমিল্লায় সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের লাইসেন্সবিহীন একটি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (২৮ মে) বিকেলে কুমিল্লা শহরতলীর সদর হাসপাতালের সামনে অবস্থিত সততা স্পেশালাইজড হসপিটালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুমিল্লা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা।
অভিযানে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির বৈধতাই নেই বলে পুরো ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করেছেন তিনি।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা।
তিনি জানান, সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটিকে জেলা প্রশাসন থেকে বার বার সতর্ক করা হয়েছিল লাইসেন্স করার জন্য। কিন্তু কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স করেননি। রোববার বিকেলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে পুনরায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু অনিয়মের পাশাপাশি লাইসেন্স না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে সিলগালা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনেক অনিয়ম ছিল। তাদের পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। যন্ত্রপাতি নেই। লাইসেন্স নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত পাওয়া গেছে। অপরিচ্ছন্ন কক্ষ। এসব কারণে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।
কানিজ ফাতেমা বলেন, আমরা রোববারের এই অভিযানে নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় একজন ভুয়া ডাক্তারকে ধরতে ন্যাশনাল ডিজিটাল স্পেশালাইজড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই। সেখানে গিয়ে ওই ভুয়া ডাক্তারকে পাইনি। তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে কোন কার্যক্রম পাইনি। তারা দালালের মাধ্যমে রোগী আনে। তারপর বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনে। অনেক ডাক্তারের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। যাদের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তারা কেউ এখানে রোগী দেখেন না। এসব অপরাধের কারণে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকেও সিলগালা করেছি।
কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ১৩৮ জন ভুয়া ডাক্তারের তালিকা তৈরী করেছি। অনিয়ম করা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরও তালিকা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আমরা এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।